• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

বন্যাকালীন সময়ে যেসব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০২২  

বন্যায় বর্তমানে সিলেটসহ দেশের কয়েকটি জেলা প্লাবিত হয়েছে। যার কারণে সেখানকার জনজীবন বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। বন্যার সময় পানিবাহিত রোগগুলো বেশি হয়। কারণ তখন পানির উৎসগুলো সংক্রমিত হয়। নলকূপ ডুবে যায়। বিশুদ্ধ পানির অভাব, দূষিত পানির কারণে এ রকম হয়।

এছাড়া বন্যার সময় ময়লা-আবর্জনা, মানুষ ও পশুপাখির মলমূত্র এবং পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা একাকার হয়ে এসব উৎস থেকে জীবাণু বন্যার পানিতে মিশে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এভাবে বন্যায় সংক্রামক ব্যাধির বিস্তার বেড়ে যায়।

 
বন্যায় সৃষ্ট রোগবালাই থেকে রক্ষা পেতে কি কি করবেন চলুন জেনে নেয়া যাক -

>> বন্যার পানি পান করবেন না।

>> পানি আধা ঘন্টা ফুটিয়ে পান করুণ। পানি ফুটানো সম্বব না হলে পানি বিশুষ্ক করে পান করুণ।

>> পানি বিশুদ্ধকরার জন্য পানি বিশুদ্ধকরণ বড়ি (হ্যালোজেন ট্যাবলেট), ফিটকারী ব্যবহার করতে পারেন।

>> ১৫ মিলিগ্রামের ২টি পানি বিশুদ্ধকরণ বড়ি (হ্যালোজেন ট্যাবলেট) ১০ লিটার (১ কলস) পানিতে মিশিয়ে আধা ঘন্টা পর পান করুন।

>> বন্যা পরবর্তী প্রধান স্বাস্থ্য সমস্যা হলো ডায়রিয়া। ডায়রিয়া দেখা দিলেই পরিমাণমতো খাবার স্যালাইন খেতে হবে। যদি পাতলা পায়খানা ও বমির মাত্রা বেড়ে যায় সে ক্ষেত্রে শিরাপথে স্যালাইন দিতে হবে। ডায়রিয়া হলে রোগীকে স্বাভাবিক খাবার দিন। আক্রান্ত শিশুকে মায়ের দুধ অবশ্যই খাওয়াতে হবে।

>> বন্যাজনিত যেকোনো রোগে (যেমন ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, জ্বর,সর্দি-কাশি, চর্মরোগ) মেডিকেল টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

>> অসুস্থ, আঘাত প্রাপ্ত, সাপে কাটা ও পানিতে ডোবা রোগীকে উদ্ধার করে মেডিকেল টিমের সহায়তা চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।

>> বন্যা পরবর্তীতে বাড়ীঘর, পয়ঃনিষ্কাশনসহ বাড়ীর আঙ্গিনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করুন। যেকোনো মরা, পচা জীবজন্তু দেখা মাত্রই মাটিতে পুঁতে ফেলুন।

>> বন্যায় নিরাপদ পয়ঃপ্রণালীর অভাব ঘটে। এ সময়ে কৃমির ওষুধ খেতে হয়। কেননা নিরাপদ পয়ঃনিষ্কাশনের অভাবে কৃমির সংক্রমণ বেড়ে যায়। যেখানে সেখানে পায়খানা না করে একটি নির্দিষ্ট নিরাপদ পায়খানার ব্যবস্থা করতে হবে।

>> খাবার গ্রহণে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। খাবার যাতে পচে না যায় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

>> বন্যায় চর্মরোগ হতে পারে। যতটা সম্ভব শরীর শুকনো রাখতে হবে। একই গামছা বা তোয়ালে অনেকজন ব্যবহার করবেন না।

>> বন্যায় মশার উপদ্রব বেড়ে যায়। ব্যাপক মশা নিধনের ব্যবস্থা না করলে ম্যালেরিয়া হতে পারে।

দুর্ঘটনা এড়াতে:
বন্যার কারণে যেমন রোগের বিস্তার বৃদ্ধি পায় তেমনি দেখা দেয় আকস্মিক কিছু দুর্ঘটনা। কেবল একটু সতর্কতার মাধ্যমে এসব দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

বন্যায় সাধারণত যেসব ঝুঁকি বাড়ে:

>> বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেশি

>> পানিতে ডুবে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি

>> সাপ ও পোকামাকড়ের কামড়ের ঘটনা বেশি ঘটে।

পানিতে ডুবে যাওয়া ও সাপের কামড়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বন্যার সময় শিশুদের প্রতি বাড়তি নজর রাখতে হবে। এ সময় শিশুদের চোখের আড়াল করা যাবে না। অভিভাবকদের অসচেতনতার দরুণ বন্যার পানি থেকে শিশুদের দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। একটু বাড়তি নজর রাখলেই এ ধরনের দুর্ঘটনা থেকে শিশুরা রক্ষা পেতে পারে।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –