• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

যেভাবে মানুষের ৭টি মৌলিক আকাঙ্ক্ষা পূরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী    

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০২২  

অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিঃ
বাংলাদেশের সরকারি নীতিতে এখন অধিকতর অন্তর্ভুক্তিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এর কারণ হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার বিশেষ নিবন্ধে যে কারণের কথা উল্লেখ করেছেন, সেগুলো হলো: প্রথমে বৃটিশ ও পরে পাকিস্তানিতদের আমলে আমাদের সমাজে যেসব বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল, মানুষ এখন সেসবের বিরুদ্ধে বেশ সচেতন হয়ে উঠেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম সমাজের সর্বোস্তরের মানুষকে একসঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করে সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনের উদ্যোগ নেন, সেই ধারাবাহিকতাতেই আজ সাম্যভিত্তিক নীতি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। উন্নয়নের সঙ্গে সমাজকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। আমার সরকার জনগণের অন্তর্ভুক্তি ও অংশগ্রহণমূলক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নিচের কয়েকটি উদাহরণ দেখলেই যে কারো কাছে তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।

(ক) মোবাইলের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সেবা: যখন ডিজিটাল যোগাযোগ ডিভাইসগুলোকে সহজলভ্য করা হলো এবং সেগুলো দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়লো, তখন দূরদর্শী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকন্যা এগুলোকে খুব সহজেই অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেন। কারণ তিনি জানতেন, এটি করতে পারলে গণমানুষের অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা বাড়বে। এবিষয়ে তিনি নিজের লেখায় জানান, 'একারণে ২০০৯ সালে আমি দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠনের পর, আমার সরকার মোবাইলের মাধ্যমে টাকা লেন-দেন চালু করে। এখন আমাদের দেশে ৮ কোটিরও বেশি মানুষ মোবাইলের মাধ্যমেই অর্থ লেন-দেন করছে।'

(খ) ছোট উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যাংকিং সুবিধা: শুধু স্বল্প বিনিয়োগের উদ্যোক্তাদের পাশে থাকার জন্যই আওয়ামী লীগ সরকার কর্মসংস্থান ব্যাংক নামে একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছে। এই ব্যাংক থেকে তরুণ উদ্যোক্তা এবং নারীরা বিনা জামানতে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারেন। বিভিন্ন স্টার্ট-আপের প্রশিক্ষণ নিয়ে, স্বল্প সুদের এই ঋণ গ্রহণ করে যে কেউ নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পারছে এখন।

(গ) ক্ষুদ্র-সঞ্চয়: এটি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি নিজস্ব চিন্তা। তিনি এ বিষয়ে লিখেছেন- ''আমি স্বল্প আয়ের মানুষদের সঞ্চয়ের জন্য একটি চিন্তা করেছিলাম, যা পরবর্তীতে 'আমার বাড়ি, আমার খামার' নামে পরিচিতি লাভ করে। আমার উদ্দেশ্য ছিল যে, গ্রামের মানুষদের সঞ্চয়ের প্রতি আগ্রহী করে তোলা, তাদের মধ্যে সমবায়-ভিত্তিতে উৎপাদনমুখী কাজের পরিধি বৃদ্ধি করা। এবং এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই দেশ থেকে দারিদ্র দূর করা। এটাই ছিল আমার চিন্তা। যাদের বাড়ি আছে, তারা যেনো বাড়ি আশেপাশের পুকুর বা জমিতে মাছ বা সবজি চাষ করে। কোনো জায়গা যেনো খালি না রাখে। আর যারা আরেকটু মেধাবী ও আগ্রহী তাদের জন্য হস্তশিল্প, কুটিরশিল্প, ফল চাষ, মাশরুম চাষ এবং আরো যেসব চাষাবাদ করা সম্ভব, তারা যেনো তা করে। আবার মাছ চাষ, পোল্ট্রি চাষ, কবুতর বা কোয়েল চাষেল মাধ্যমেও মানুষ আয় বাড়াতে পারেন। আমাদের দর্শনটা হলো, মূল্যবান একটু জায়গাও যেনো পড়ে না থাকে। গ্রামের মানুষ যেনো উৎপাদনমুখী হয়, সেজন্য সরকার যাবতীয় প্রণোদনা ও উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে।'

(ঘ) বিশেষ প্রণোদনা: উৎপাদন এবং সঞ্চয় বাড়ানোর জন্য সরকার প্রথমে আগ্রহীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, যাতে তারা ঋণ নিয়ে সফলভাবে কাজটি সম্পন্ন করতে পারে। এরপর যদি কোনো ব্যক্তি তার লাভ থেকে কিছু সঞ্চয় করে, তাহলে সরকার সম-পরিমাণ অর্থই উপহার হিসেবে তাকে দিচ্ছে, ফলে তার অর্থের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা ও নির্দেশনা অনুসারে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার মানুষকে এই সুবিধা দিচ্ছে।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –