• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

বরিশালে জন্ম, তারকার হওয়ার আগে ফুটপাতে রাত কাটতো মিঠুনের

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০২২  

‘ডিস্কো ডান্সার’ মিঠুন চক্রবর্তীর জীবনের গল্প হার মানাবে যে কোনো বলিউড ছবির চিত্রনাট্যকে।  গতকাল ৭১ বছরে পা দিলেন বাঙালির প্রিয় মিঠুনদা।

১৯৫২ সালে ১৬ জুন বাংলাদেশের বরিশালে জন্ম মিঠুন চক্রবর্তীর। বাবা-মা আদর করে নাম রেখেছিলেন গৌরাঙ্গ। কলকাতাতেই তার বেড়ে ওঠা। বাংলা, হিন্দি-সহ দেশের বিভিন্ন ভাষায় ৩৫০টি ছবি করেছেন মিঠুন। বোম্বে (এখন মুম্বই)-তে একরাশ স্বপ্ন নিয়ে হাজির হয়েছিল গৌরাঙ্গ। পরের জার্নিটা ভরপুর চড়াই-উতরাইতে। 

পেট চালাতে স্পটবয় হিসাবে কাজ করেছেন মিঠুন। এক সাক্ষাৎকারে পুরোনো দিনের স্মৃতি রোমন্থন করেছিলেন অভিনেতা। আর্ট ফিল্ম ‘মৃগয়া’ দিয়ে শুরু মিঠুনের অভিনয় ক্যারিয়ার। ১৯৭৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মৃণাল সেনের এই ছবি সোভিয়েত ইউনিয়ানের হিট হয়েছিল, বক্স অফিসে ১০০ কোটির গণ্ডি পার করা প্রথম ভারতীয় ছবি ছিল ‘মৃগয়া’। তবে ক্যারিয়ার শুরুর আগেই আত্মহত্যার ভাবনা ঘিরে ধরেছিল মিঠুনকে। 

২০১১ সালে ইটিসি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, ‘আমি স্ট্রাগল নিয়ে খুব বেশি কথা বলতে চাই না। কারণ প্রত্যেকের জীবনে একটা স্ট্রাগল থাকে, আমার এত বেশি যা অনেকের স্পিরিটটা ভেঙে দেবে। এইটুকুই বলব আমি কিন্তু ফুটপাত থেকে উঠে এসেছি’।

এরপর অভিনেতা বলে চলেন, ‘মুম্বাই শহরে আমি এমন অনেক রাত কাটিয়েছি যখন আমাকে কোনো গার্ডেনে খোলা আকাশের নীচে শুতে হয়েছে। আমার এক বন্ধু আমাকে মটুঙ্গা জিমখানায় এক মেম্বারশিপ করিয়ে দিয়েছিল, যাতে সেখানকার বাথরুমটা আমি ব্যবহার করতে পারি। সকালে সেখানে যেতাম, ফ্রেশ হতাম, এরপর পথে বেরিয়ে পড়া। জানি না কোথায় যাব, কী খাব? আজ কী হবে!’

এরপর মিঠুন যোগ করেন, ‘আমি কারুর স্বপ্নে চিড় ধরাতে চাই না। কিন্তু এমন সময় এসেছে যখন আমার মনে হয়েছে আমি পারব না। আমি ভেবেছি হয়ত আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে। সেই ভাবনার পিছনে অনেক কারণ ছিল। আমি কলকাতা ফিরতে পারতাম না নিজের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের জেরে, আমি অন্য কিছু করতে পারতাম না। আপনারা কখনই ভাববেন না কোনো লড়াই ছাড়া নিজের জীবন শেষ করে দেওয়াটা ঠিক। আমার মধ্যে ওই ভাবনা এসেছিল কারণ আমি হারতে শিখিনি, হার কী আমি জানতাম না, আমি খেলার মাঠেও কোনওদিন হারিনি’। 

সম্প্রতি আমাজন প্রাইম ভিডিওর ‘বেস্টসেলার’ এবং বক্স অফিসে সাড়া জাগানো ছবি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এ দেখা গিয়েছে মিঠুনকে। শিগগিরই বাংলা সিনেমায় ফিরছেন তিনি। দেবের প্রযোজনায় তৈরি ‘প্রজাপতি’তে দেখা যাবে মিঠুনদাকে। ৪৬ বছর পর এই ছবিতে আবারও একসঙ্গে মিঠুন-মমতা শংকর।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –