• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

এখনো বাস চালানোর চাকরি ছাড়েননি কেজিএফ তারকা যশের বাবা

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ মে ২০২২  

বলিউডে এখন রাজত্ব করছে দক্ষিণের ইন্ডাস্ট্রি। দক্ষিণী ছবির প্রতি এখন দর্শকদের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি। ‘পুষ্পা-দ্য রাইজ’, ‘আরআরআর’-এর পর যশের ‘কেজিএফ-২’। বলা হচ্ছে, দক্ষিণী ছবির সাঁড়াশি চাপে এখন নাজেহাল বলিউড। এর ফলে কপালে চিন্তার ভাঁজ হিন্দি ছবির নির্মাতাদের। 

দক্ষিণী তারকা যশ অভিনীত ‘কেজিএফ-২’ ছবি মুক্তির প্রথম দিন বক্স অফিসে ১৩৪.৯৫ কোটি রূপির ব্যবসা হাঁকিয়েছিল। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১৫৪ কোটি টাকা। আর ইতোমধ্যেই বক্স অফিসে হাজার কোটির ব্যবসা করে ফেলেছে ওই ছবিটি। আর ওই সিনেমার হাত ধরেই ভারতের আইকন হয়ে উঠেছেন দক্ষিণী সুপারস্টার যশ। বর্তমানে সারাবিশ্বের নজর তার উপর।

নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে যশ স্ট্রাগল করেই সাফল্য পেয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন যে, তার বাবা পেশায় বাস ড্রাইভার ছিলেন। কিন্তু, এবার প্রকাশ্যে এল আরো এক গোপন তথ্য! ছেলে সুপারস্টার হওয়া সত্ত্বেও চাকরি ছাড়েননি যশের বাবা অরুণ কুমার। এখনো ‘কর্নাটক স্টেট রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (KSRTC)-এর বাস ড্রাইভার তিনি।

সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন ‘বাহুবলী’ ও ‘আরআরআর’ খ্যাত জনপ্রিয় পরিচালক এস এস রাজামৌলি। এক অনুষ্ঠানে এই পরিচালক বলেন, ‘শুনেছি, যশের বাবা নাকি বাস চালক। আজো নাকি তিনি চাকরি ছাড়েননি। আমার মতে, তিনিই আসল স্টার। যশের চেয়েও তার কৃতিত্ব বেশি।’ যশের বাবার বিনয়ই বাহুবলী খ্যাত পরিচালকের মনে ধরেছে। ছেলে সুপারস্টার হওয়ার পরেও তিনি নিজের পরিচয় ভুলে যেতে নারাজ, সেই বিষয়টি অনেককেই অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালের ৮ জানুয়ারি জন্ম নেয়া নবীন কুমার গৌঢ়া ওরফে যশ-এর বাবা অরুণ কুমার পেশায় বাস চালক। আর মা পুষ্পা গৃহবধূ। ছেলেবেলা থেকেই হিরো হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন যশ। আর সেই কারণেই স্কুল-কলেজে থিয়েটার করতেন তিনি। সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ পাওয়ার জন্য মাত্র ৩০০টাকা পকেটে নিয়েই ঘর ছেড়েছিলেন যশ।

অতীত জীবন প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেছেন, “আমার বাবা বাসের ড্রাইভার। আর মা গৃহবধূ। আমি ছোট থেকেই অভিনেতা হতে চেয়েছিলাম। একজন অভিনেতার উপর সকলের নজর থাকে। ওই অ্যাটেনশনটা পেতে ভালো লাগত। সেই কারণেই ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতাম। নিয়মিত নাচও করতাম। এতে খুব আনন্দ পেতাম। এভাবেই শুরুটা হয়েছিল। আর আজ আমি এই জায়গায়।”

একসময় অর্থকষ্টের সম্মুখীন হওয়া সুপারস্টার যশ এখন ভারতীয় মুদ্রায় ৩৮ কোটি, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক। জানা গিয়েছে, প্রতিটি ছবির জন্য দু’ কোটি রূপি চার্জ করেন দক্ষিণী এই তারকা। প্রতি মাসে তার ইনকাম গড়ে ৫০ লাখ রূপি। বার্ষিক আয় পাঁচ কোটির কাছাকাছি। ছবি ছাড়াও বিভিন্ন বিজ্ঞাপন এবং প্রোমোশনও করেন তিনি। সেখান থেকেও মোটা টাকা আয় করেন যশ।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –