• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

তৃতীয় দফায় খালেদার জামিন নিয়ে চলছে কানাঘুষা

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৯ আগস্ট ২০২১  

আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার তৃতীয় দফা জামিনের মেয়াদ শেষ হতে চলছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা প্রয়োগ করে সরকার বিশেষ বিবেচনায় তাকে জামিন দিয়েছে। এ জামিনের মেয়াদ বাড়বে কিনা এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানা গুঞ্জন।  

খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরাও শঙ্কিত যে, শেষ পর্যন্ত খালেদা জিয়াকে আবার জেলে যেতে হবে কিনা? এসব শঙ্কা-উৎকণ্ঠার প্রধান কারণ হলো হঠাৎ করেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠা এবং আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের উত্তেজনাপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি।

গত কিছুদিন ধরেই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতারা কঠোরভাবে বিএনপির সমালোচনা করছেন। ১৫ আগস্ট এবং ২১ আগস্ট প্রেক্ষাপটে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য, ভূমিকা ও যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে যোগসূত্র ইত্যাদি ইস্যুতে আওয়ামী লীগের নেতারা বিএনপির তীব্র সমালোচনা করছেন।

অন্যদিকে বিএনপিও গত কিছুদিন ধরে সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়েছে। বিশেষ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত কিছুদিন ধরেই নানা অজুহাতে সরকারের সমালোচনায় সরব হয়ে উঠেছেন। তিনি গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন সরকারকে হটানো হবে- এমন কথাও বলেছেন।

এ ধরনের পরিস্থিতির মাঝেই খালেদা জিয়ার ১১টি মামলা আগামী অক্টোবরের মধ্যে শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। ৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার জন্মদিন ও যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়ার অভিযোগের মামলা দুটির শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। এছাড়াও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৪টি মামলার সবগুলোই আস্তে আস্তে সচল হচ্ছে।

এমতাবস্থায় অনেকেই মনে করছেন, শেষ পর্যন্ত হয়তো খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ আর বৃদ্ধি করা হবে না। উল্লেখ্য, দুটি দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়া মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত।

বিএনপি নেতারা মনে করেন, এভাবে খালেদা জিয়ার জামিন নেয়া ঠিক হয়নি। তবে এখন যে পরিস্থিতি, তাতে খালেদা জিয়ার যদি নির্বাহী আদেশে জামিনের মেয়াদ আরো বৃদ্ধি না করা হয়, তাহলে তাকে আবারো জেলে যেতে হবে। তাই নির্বাহী আদেশে মুক্তি নিয়ে কী লাভ হয়েছে? বরং এর ফলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আপসহীন নেত্রীর যে তকমা ছিল, সেটিকেই কলঙ্কিত করেছেন তিনি।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –