‘ভারত বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দিলেও বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য নয়’

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা জানিয়েছেন, ভারত সরকার নিজস্ব নীতি বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন পণ্যে বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে। তবে সেটা বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য নয়।

তিনি আরো বলেন, ভারত বাংলাদেশকে সাহায্য করতে চায়। এ বছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় আশা করা যায় ভারতে ফসল উৎপাদন ভালো হবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রয়োজন মোতাবেক পণ্য রফতানি করতে পারবে ভারত।

এ সময় তিনি বাংলাদেশে গম রফতানিতে ভারত সরকারের আগ্রহের কথা জানান।

সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা জানান ভারতের হাইকমিশনার।

বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের নেয়া পদক্ষেপগুলোর ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রণয় ভার্মা। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার জন্য এটা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে।

বৈঠকে শেষে দুদেশের খাদ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, বাংলাদেশে খাদ্য মজুদ পরিস্থিতি সন্তোষজনক। এ বছর বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ থেকে চাহিদা পূরণ হওয়ায় চাল আমদানি করছে না বাংলাদেশ। তবে রাশিয়া থেকে গম আমদানি করছে। ভারত থেকে গম আমদানি সম্ভব হলে সেটা আমাদের জন্য ব্যয় সাশ্রয়ী হবে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার পরিচালিত খাদ্য বিতরণ কর্মসূচির সুফল পাচ্ছে দরিদ্র মানুষ। টিসিবির আওতায় ১ কোটি পরিবার নায্যামূল্যে ৫ ধরনের খাদ্যসামগ্রী পাচ্ছে। ৫০ লাখ পরিবার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় বছরে ৫ মাস ১৫ টাকা মূল্যে ৩০ কেজি করে চাল পাচ্ছে। সরকার ওএমএসের আওতায় চাল-আটা ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি করছে। এ ছাড়া বছরে দুই বার প্রতি ইউনিয়নে ৭ -৮ হাজার হতদরিদ্রকে ১০ কেজি করে চাল দিচ্ছে সরকার। এগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন ও খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন।