• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

সর্বশেষ:
সর্বোচ্চ আদালতের রায়ই আইন হিসেবে গণ্য হবে: জনপ্রশাসনমন্ত্রী। ২৫ জুলাই পর্যন্ত এইচএসসির সব পরীক্ষা স্থগিত।

‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জনগণকে সোচ্চার হতে হবে’

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ ডিসেম্বর ২০২৩  

হরতাল অবরোধে অগ্নিসন্ত্রাস একটি অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। এসব অসাংবিধানিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। 

বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রয়াত সভাপতি ডা. এস এ মালেকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বুধবার এই স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আ ব ম ফারুক, ডা. এস এ মালেকের ছেলে ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রেসিডিয়াম সদস্য অজিত কুমার সরকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন ফিল্ম ও ফটোগ্রাফি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আ জ ম শফিউল আলম ভূইয়া ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকুল আরেফিন, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান লাল্টু, সাংগাঠনিক সম্পাদক ডা. আইয়ুবুর রহমান, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক নেসার আহমেদ ভূইয়া প্রমুখ।

আরেফিন সিদ্দিক বলেন, আগামী নির্বাচনকে বানচাল করতে নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলছে। বিরোধী দল হরতাল দিচ্ছে, অবরোধ দিচ্ছে। সেগুলো তারা দিতে পারে, সেই রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়ার অধিকার তাদের আছে। তবে বঙ্গবন্ধু যে সংবিধান আমাদেরকে দিয়ে গেছেন, সেখানে ২২টি মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার আমাদের দেওয়া হয়েছে। 

তিনি বলেন, আপনাদের যেমন অবরোধ দেওয়ার অধিকার আছে, ঠিক তেমনি আমাদেরও নিশ্চিন্তে চলাফেরার অধিকার আছে। হরতাল অবরোধে অগ্নিসন্ত্রাস একটি অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক, সন্ত্রাসী কার্যক্রম। তাই অসাংবিধানিক যেসব কর্মকাণ্ড ঘটছে, এগুলোর বিরুদ্ধে সাধারণ জনগনকে সোচ্চার হতে হবে।

ডা. এস এ মালেক সম্পর্কে আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ডা. এস এ মালেক সব সময়ই নিজের সবটুকু দিয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদ পরিচালনা করেছেন, কিন্তু তিনি কখনো পদ পদবীর আকাঙ্ক্ষা করেননি। আজকে আমরা সেই মানুষটির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই মিলনায়তনে একত্রিত হয়েছি। এই শ্রদ্ধা জানানো তখনই সফল হবে, যখন আমরা তার সাংগঠনিক ও মানবিক গুণাবলীগুলোকে ধারণ করতে পারবো।

সভায় বক্তারা বলেন, বাঙালি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ডা. এস এ মালেকের অসাধারণ অবদান রয়েছে। তিনি রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ পুনর্গঠনে এবং ’৭৫ পরবর্তী আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। পরবর্তীতে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ডা. এস এ মালেকের প্রয়াস  ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল হয়ে লেখা থাকবে।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –