এপ্রিলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর ঘোষণা মিয়ানমারের

আগামী মাসে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমার। প্রথম ব্যাচে এক থেকে দেড় হাজার রোহিঙ্গাকে রাখাইনের ট্রানজিট ক্যাম্পে নেয়া হবে। এরপর তাদের নিজেদের আদি আবাসস্থলে পাঠানো হবে।
মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল জো মি তুন গতকাল আলজাজিরাকে বলেছেন, বাঙালিদের (রোহিঙ্গা) মিয়ানমারের স্বাগত জানানো হবে। বাংলাদেশ থেকে শরণার্থীদের প্রথম ব্যাচটি এপ্রিলের প্রথমার্ধে আসবে। এই ব্যাচটিকে কয়েক সপ্তাহ ট্রানজিট ক্যাম্পে কাটাতে হবে। এরপর তাদের নিজ আবাসস্থলে পাঠানো হবে। তিনি বলেন, ছয় বছর আগে রাখাইন থেকে পালিয়ে যাওয়া বাঙালিরা সামরিক শাসনের অধীনে মিয়ানমারে নিরাপদে থাকবে। তাদের নিরাপত্তার গ্যারান্টি মিয়ানমার সরকার দিচ্ছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমার সামরিক বাহিনী রোহিঙ্গাদের বাঙালি হিসেবে চিহ্নিত করে। তাদের মতে, এসব বাঙালি ব্রিটিশ শাসনামলে চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে আরাকানে বসবাস শুরু করেছিল। দেশটির নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক বা ক্ষুদ্র জাতি-গোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃত নয়।
সীমিত সংখ্যক রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেয়ার পাইলট প্রকল্পকে অধিকার কর্মীরা মিয়ানমার সামরিক সরকারের পিআর ক্যাম্পেইন (প্রচারণামূলক কর্মকাণ্ড) হিসাবে বিবেচনা করছে। এই পাইলট প্রকল্পের অংশ হিসাবে মিয়ানমারের ১৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল গত ১৫ থেকে ২২ মার্চ কক্সবাজারে প্রায় ৫০০ রোহিঙ্গার সাক্ষাৎকার নেয়। ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নে সান উইন আলজাজিরাকে বলেছেন, আমরা এটিকে পিআর ক্যাম্পেইন হিসাবেই দেখছি। মিয়ানমারের হাতে আট লাখ রোহিঙ্গার তালিকা রয়েছে। প্রত্যাবাসন শুরু করতে চাইলে তারা আগেই পরিকল্পনার কথা জানাতে পারত। এক হাজার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সিদ্ধান্ত ঘোষণার লক্ষ্য মিয়ানমারের ওপর চীন ও অন্যান্য দেশের চাপ কমানো।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আট লাখ ৮৮ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর তালিকা মিয়ানমারের কাছে পাঠিয়েছিল। এরপর মিয়ানমারের পক্ষ থেকে যাচাই-বাছাই করে কয়েক দফায় মোট ৬৮ হাজার রোহিঙ্গার ফিরতি তালিকা পাঠানো হয়। গত বছর জানুয়ারিতে পাইলট প্রকল্পের অংশ হিসেবে এই তালিকা থেকে পরিবারভিত্তিক প্রত্যাবাসনের জন্য প্রাথমিকভাবে এক হাজার ১৪০ জনকে বাছাই করা হয়। এর মধ্যে ৭১১ জন রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে মিয়ানমার সম্মতি দিলেও বাকি ৪২৯ জনের ব্যাপারে তাদের আপত্তি ছিল। সেই ৪২৯ জনের তথ্য যাচাই-বাছাই করতেই মিয়ানমারের প্রতিনিধিদল সম্প্রতি বাংলাদেশে এসেছিল।
জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের সম্ভাব্য প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের দ্বিপক্ষীয় পাইলট প্রকল্প নিয়ে আলোচনায় তারা সম্পৃক্ত নয়। প্রত্যাবাসন নিয়ে ইউএনএইচসিআরের অবস্থানে পরিবর্তন হয়নি। সংস্থাটির মতে, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইনের বর্তমান পরিস্থিতি অনুকূল নয়। সম্পূর্ণ তথ্য সম্পর্কে অবগত হয়ে প্রতিটি শরণার্থীর তার নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার অধিকার রয়েছে। তবে কোনো শরণার্থীকে এ ব্যাপারে জোর করা যাবে না।
রোহিঙ্গাদের তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের জন্য মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফর নিয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন গণমাধ্যমকে বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারের দিক থেকে একটি ইতিবাচক আচরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এটি আগে দেখা যায়নি। তবে এটি কি সাময়িক বা এটার মধ্যে অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে, সেটা আমাদের বোঝার চেষ্টা করতে হবে। তিনি বলেন, মিয়ানমারের প্রতিনিধিদল এসেছে বলে আগামীকাল রোহিঙ্গারা রাখাইনে রওনা হবে বা পরশু দিন ওদের ঠেলে পাঠিয়ে দেয়া হবে, ব্যাপারটা সেরকম না। ১১ লাখ রোহিঙ্গা তো এক দিনে, এক মাসে বা এক বছরে ফিরে যেতে পারবে না। প্রতিনিধিদল আসার পর আরো অনেক পদক্ষেপ রয়েছে।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আমাদের দেখতে হবে রোহিঙ্গারা যেখানে ফিরে যাবে সেখানে সহায়ক পরিবেশ আছে কি না, তাদের চলাফেরার স্বাধীনতা, শিক্ষা বা স্বাস্থ্যসেবার সুবিধা থাকবে কি না। সেখানে আন্তর্জাতিক, বিশেষ করে আসিয়ান (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট) বা জাতিসঙ্ঘের উপস্থিতি থাকবে কি না। এসবের সমন্বয় যখন হবে, তখন মিয়ানমার আমাদের সাথে বা রোহিঙ্গাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করবে। তার পরই রোহিঙ্গাদের যাওয়ার কথা আসবে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে সরকার আশাবাদী কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আমরা আশ্রয় দিয়েছি। পাঁচ বছরের বেশি সময় তাদের দেখভাল করছি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও আমাদের সাহায্য করছে। সুতরাং প্রত্যাবাসন টেকসই হবে- এ বিষয়ে নিশ্চিত না হলে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাবে না।
– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –- বিজয় দিবসে বিমানের টিকিটে ১৬ শতাংশ ছাড়
- আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে আগুন দিচ্ছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
- দেশব্যাপী আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত
- যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশ এগিয়ে যাচ্ছে: আইজিপি
- ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবিলায় ১০ সুপারিশ
- ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন
- নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে আইনি ব্যবস্থা: ইসি সচিব
- হজের নিবন্ধনের সময় বাড়ল ২১ দিন
- জ্বালানির দাম প্রতি মাসে সমন্বয় করা হবে: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
- নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করে কেউ সফল হবে না: এনামুল হক শামীম
- আমরা বিশ্বসেরা শিক্ষার্থী গড়ে তুলতে চাই: শিক্ষামন্ত্রী
- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আপিল শুনানি শুরু আজ
- নারীরা কোনো সেক্টরেই পিছিয়ে নেই: প্রধানমন্ত্রী
- দায়িত্ব পালনে নৈতিকতা প্রদর্শন করতে হবে: রাষ্ট্রপতি
- ৫ বছরে সমাজকল্যাণমন্ত্রীর আয় কমেছে ২ লাখ টাকা
- বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে বিষপানে জীবন দিল দুলু
- লালমনিরহাটে কারাগারে তরুণ-তরুণীর বিয়ে
- মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, ২ বন্ধু নিহত
- রোকেয়া দিবস: বেরোবিতে রোকেয়ার ম্যূরাল স্থাপনের দাবি
- রাতেই নিউজিল্যান্ডে উড়াল দিবে টাইগাররা
- ‘অ্যানিমেল’ সিনেমায় ববির মৃত্যুর দৃশ্য মানতে পারেননি ‘মা’
- হজযাত্রীদের যে সুখবর জানাল সৌদি সরকার
- এভাবে সূর্যকে কখনোই দেখেনি কেউ
- ‘নারী শিক্ষার প্রসারে বেগম রোকেয়ার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’
- পাঁচ বিশিষ্ট নারীর হাতে রোকেয়া পদক তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী
- বিদেশিরা আমাদের চাপ দেয়নি: ইসি আলমগীর
- জনগণ অংশ নিলেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে: তথ্যমন্ত্রী
- ‘৫০০ সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস শুরু হয়েছে’
- দুই ফসলি জমি রক্ষায়ও সরকার বদ্ধপরিকর: ভূমি সচিব
- সরকার উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করছে
- দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তান ম্যাচে যেমন হবে আবহাওয়া
- সেলফি তুলে এক রাতে ২০-৩০ লাখ টাকা আয় করেন ওরি!
- ফজরের সময় জেগে উঠার কার্যকরী কৌশল
- ভারত-বাংলাদেশ একসাথে এগিয়ে যেতে চায়
- গোয়ায় জয়ার ‘ফেরেশতে’
- বাংলাদেশে এই প্রথম ট্রেনে নারী অ্যাটেনডেন্ট
- বাংলাদেশ-ভারত একযোগে কাজের জন্য সহযোগিতামূলক প্ল্যাটফর্ম প্রয়োজন
- স্মার্ট গ্যাস মিটারিংয়ের মাধ্যমে দেশের জ্বালানি দক্ষতা বাড়বে
- হজযাত্রীদের যে সুখবর জানাল সৌদি সরকার
- মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, ২ বন্ধু নিহত
- সালাতুদ দুহা বা চাশতের নামাজের নিয়ম ও ফজিলত
- রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শায়িত হলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা সাদুল্ল্যাহ
- গণতন্ত্র ত্রুটিমুক্ত করতে কাজ করছে আওয়ামী লীগ: ওবায়দুল কাদের
- লালমনিরহাটে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে নগদ অর্থ প্রদান
- ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জনগণকে সোচ্চার হতে হবে’
- রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের মনোনয়ন চূড়ান্ত: কাদের
- দিনাজপুরে ধান ক্ষেতে পড়ে ছিল মানব কঙ্কাল
- আজানের পর দোয়া পড়ার ফজিলত
- বরিশাল হবে শান্তির নগরী: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী
- ‘এ আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যায় না’