• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

নৌবাহিনীকে স্মার্ট করে গড়ে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০২৩  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশকে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে রূপান্তরিত করতে হলে সমুদ্র সম্পদের টেকসই ও বহুমাত্রিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। কাজেই সমুদ্রসীমায় আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও স্বার্থ রক্ষায় নৌবাহিনীকে আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে মিল রেখে সক্ষম রাখতে সবসময় সচেষ্ট রয়েছি। এ বাহিনী প্রয়োজন শুধু যুদ্ধকালীন নয় বরং শান্তিকালীনও। তারা প্রতি মুহূর্তে জনসাধারণের দৃষ্টিসীমার আড়ালে থেকে কাজ করে যাচ্ছে।

সোমবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কক্সবাজার পেকুয়ার মগনামায় নৌবাহিনীর কমিশনিং অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পূর্ব নির্ধারিত সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় নৌবাহিনীর কমিশনিং অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও অনুষ্ঠান শুরুর সময় আকস্মিক ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে সূচিতে পরিবর্তন এনে কিছুটা বিলম্ব হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘বানৌজা শেখ হাসিনা' ঘাঁটিতে ভিডিও টেলিকনফারেন্সে সংযুক্ত হলে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল।

এ সময় সাবমেরিনারদের একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। এরপর প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে নৌবাহিনী প্রধান ঘাঁটির অধিনায়ক কমডোর মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের হাতে কমিশনিং ফরমান তুলে দেন এবং নৌবাহিনীর রীতি অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে নামফলক উন্মোচন করেন। এর মধ্য দিয়ে ঘাঁটিটি নৌবাহিনীতে আনুষ্ঠানিকভাবে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হয়।

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সার্বিক উন্নতির জন্য যে ধরনের জাহাজ, ঘাঁটি ও অস্ত্রাদির প্রয়োজন হবে আমাদের সরকার তা নিশ্চিত করবে। বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে আজ সংযোজিত হয়েছে একটি পূর্ণাঙ্গ এবং অত্যাধুনিক সাবমেরিন ঘাঁটি। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সামরিক ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায় সূচিত হলো। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথে স্মার্ট নৌবাহিনী গড়ে তোলা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, চলমান আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে আরো ২টি নতুন মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট সংযোজন করেছি। তাছাড়া দুটি ইফটিলিটি হেলিকপ্টার অচিরেই সংযোজন করা হবে। নৌবাহিনীর জন্য খুলনা শিপইয়ার্ডে ৩টি লেন্ডিং কারফট ট্যাংক নির্মাণ কাজ চলছে। যুদ্ধ জাহাজ, অক্সিলারি জাহাজ, অত্যাধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি নৌবাহিনীতে প্রতিনিয়ত সংযোজিত হচেছ।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে প্রথমবার সরকার গঠনের পর থেকেই নৌবাহিনীকে যুগোপযোগী করতে নানা উদ্যোগ নিই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন, যুদ্ধজাহাজ সংগ্রহ এবং বিদ্যমান জাহাজসমূহের অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধি করি। খুলনা শিপইয়ার্ডসহ অন্যান্য শিপইয়ার্ডগুলো নৌবাহিনীকে হস্তান্তর করি। শুধু নিজেদের জন্য জাহাজ নির্মাণ নয়, তারা জাহাজ রপ্তানি করে বর্তমানে স্বাবলম্বী প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমুদ্র এক বিশাল সম্ভাবনার ক্ষেত্র। সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে সমুদ্রে সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি অর্জিত হয়েছে বিশাল এক অর্থনৈতিক কর্মক্ষেত্র। মৎস্য সম্পদ আহরণ এবং সমুদ্র পথে মালামাল পরিবহনের প্রচলিত কর্মকাণ্ডের পরিধি বিস্তারের ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। বন্দরের সংখ্যা ও সক্ষমতার উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটেছে।

নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত পৃষ্ঠপোষকতায় নৌবাহিনী আজ উল্লেখযোগ্যসংখ্যক যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন, হেলিকপ্টার, মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট এবং আধুনিক সমরাস্ত্রসহ সুদক্ষ নৌসদস্য নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একটি মর্যাদাপূর্ণ ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম, ২ আসনের আশেক উল্লাহ রফিক, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, মুক্তিযোদ্ধা, নৌ কমান্ডোগণ, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, নৌ সদর দপ্তরের পিএসওগণ, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –