• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

‘আরাভ খান নামে আমি কাউকে চিনি না’     

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২৩  

 
আলোচিত দুবাইয়ের সোনা ব্যবসায়ী আরাভ খান ওরফে রবিউল ওরফে হৃদয় নামে কাউকে চেনেন না বলে দাবি করেছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।

শনিবার (১৮ মার্চ) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি এ দাবি করেন।

সাবেক আইজিপি তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, সম্মানিত দেশবাসী, আমি আপনাদের সবাইকে আশ্বস্ত ও সম্পূর্ণ ভাবে নিশ্চিত করতে চাই যে, ‘আরাভ ওরফে রবিউল ওরফে হৃদয়’ নামে আমি কাউকে চিনি না। আমার সাথে তার এমনকি প্রাথমিক পরিচয়ও নেই।

তিনি আরও লিখেছেন, আমি আমার ল’ এনফোর্সমেন্ট ক্যারিয়ার এর পুরোটা সময় খুনি, সন্ত্রাসী, ড্রাগ ব্যবসায়ী, চোরাকারবারি, ভেজালকারি ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি কখনোই সখ্যতা নয়। আপনাদের অফুরান ভালোবাসা, সমর্থন ও সহযোগীতার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা ।

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার যুবক রবিউল ইসলাম নিজের নাম, জাতীয়তা পরিবর্তন করে জোগাড় করেন ভারতীয় পাসপোর্ট। এ পাসপোর্টেই পাড়ি জমান সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। দুবাই পাড়ি জমিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে তিনি হয়ে ওঠেন ‘আলাদিনের চেরাগ’।

দুবাইয়ে ‘আরাভ জুয়েলার্স’ নামের ওই প্রতিষ্ঠানের মালিকের নাম আরাভ খান। মূলত তিনি বাংলাদেশের নাগরিক রবিউল ইসলাম। তবে ভারতে গিয়ে নাম পরিবর্তন করে রাখেন আরাভ খান।

পুলিশের তথ্যানুযায়ী, ২০১৮ সালের ৭ জুলাই পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) পরিদর্শক মামুন এমরান খান হত্যাকাণ্ডের আসামি এই রবিউল ইসলাম ওরফে সোহাগ মোল্লা। রাজধানীর বনানীতে তার অফিসে এই হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছিল। এরপর সে পালিয়ে ভারতে চলে যায়। ভারতের কলকাতার নারায়ণপুর বস্তিতে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে আত্মগোপন করে। সেখানে বিয়ে করে রবিউল ইসলাম ওরফে সোহাগ মোল্লা। এরপর ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করে। সেই পাসপোর্ট দিয়েই পাড়ি জমায় দুবাইয়ে। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে দুবাইয়ের বড় স্বর্ণ ব্যবসায়ী হয়ে ওঠে। বাংলাদেশে পুলিশ সদস্য হত্যার আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে সোহাগ মোল্লা ভারত থেকে দুবাইতে গিয়ে হয়ে গেছে স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –