• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

কাশিমপুর কারাগারে বড় হামলার লক্ষ্য ছিলো জঙ্গিদের

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০২৩  

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে র‌্যাবের অভিযানে গ্রেফতার নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার দুই শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতারের পর বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। নতুন এই জঙ্গি সদস্যরা কাশিমপুর কারাগারে একযোগে জঙ্গি হামলা চালিয়ে আত্মপ্রকাশ করতে চেয়েছিল জঙ্গি এই সংগঠনটি। এ হামলার লক্ষ্য ছিলো কারাগার থেকে উগ্রপন্থিদের ছিনিয়ে নেয়া।

সোমবার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে র‌্যাবের অভিযানে গ্রেফতার হন নতুন জঙ্গি সংগঠনের সামরিক শাখার প্রধান মাসুকুর রহমান মাসুদ ওরফে রনবীর ও বোমা বিশেষজ্ঞ আবুল বাশার মৃধা। এর পর তাদের মোবাইল থেকে পাহাড়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের ভিডিও জব্দ করা হয়।

এই ভিডিওর বিষয়ে র‌্যাবের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, ছোট ছোট এই ভিডিওগুলো তিন-চার মাস আগের তৈরি। বড় ধরনের হামলা করে অস্ত্রসহ এসব ভিডিও প্রকাশ করে ‘দায় স্বীকারের’ পরিকল্পনা ছিল তাদের। 

‘বিশেষ করে কাশিমপুর কারাগারে একযোগে জঙ্গি হামলা চালিয়ে উগ্রপন্থিদের ছাড়িয়ে নেয়ার ছক কষেছিলেন তারা।’

তিনি আরো বলেন, অস্ত্র প্রশিক্ষণের অধিকাংশ ভিডিও নতুন জঙ্গি সংগঠনের সামরিক প্রশিক্ষক রনবীরের ডিভাইস থেকে পাওয়া গেছে। ভিডিওতে ৩০-৩৫ জন তরুণকে দেখা গেছে। ঘরছাড়া তরুণদের যে নিখোঁজ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল, তাদেরও ছবি সামরিক প্রশিক্ষণের ভিডিওতে রয়েছে। ভিডিওতে যাদের দেখা গেছে, তাদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা গেছে। তারা হলেন- সালেহ আহমেদ, নিজাম উদ্দিন ও আবুল বাশার মৃধা।

মঙ্গলবার কারওয়ান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেফতার রনবীর প্রথম জীবনে ছিলেন ‘ডাকাত’। কারাবন্দি অবস্থায় আরেক জঙ্গি সংগঠন জেএমবির শীর্ষনেতাদের সংস্পর্শে এসে তিনিও উগ্রবাদে জড়িয়ে পড়েন। তার বাড়ি সিলেটে। 

২০০৭ সালের আগে ডাক বিভাগে চাকরি করতেন তিনি। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি করতেন। ডাকাতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হয়। ঐ মামলায় ২০০৭-পরবর্তী সময়ে কয়েক দফায় গ্রেফতার হয়ে কারাভোগ করেন রনবীর। জামিনে বের হওয়ার পর জেএমবির জন্য কাজ শুরু করেন।

মূলত জেএমবির যেসব সদস্য কারাগারে আছেন, তাদের পরিবারের দেখভাল করতেন তিনি। কারাবন্দি জেএমবি সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগও রক্ষা করতেন। জামাতুল আনসারের এখনকার বর্তমান শূরা সদস্য এবং অর্থ ও মিডিয়া শাখার প্রধান মোশাররফ হোসেন ওরফে রাকিবের সঙ্গে ২০১৭ সালে পরিচয় হয় রনবীরের। রাকিবের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য হিসেবে জামাতুল আনসারে যোগ দেন তিনি।

কমান্ডার মঈন আরো বলেন, রনবীর সিলেট অঞ্চলে সংগঠনের দাওয়াতি ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমসহ সামরিক শাখার সদস্য নির্বাচন করতেন। শুরু থেকে সংগঠনের সামরিক শাখার বিভিন্ন নীতি-নির্ধারণী বিষয়ে বড় ভূমিকা পালন করে আসছিলেন। সংগঠনের আমিরের নির্দেশনায় কুমিল্লার পদুয়ার বাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শূরা কমিটির সভার আয়োজন করেন তিনি। ২০২১ সালে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী দল কেএনএফ বা বমপার্টির সঙ্গে জামাতুল আনসারের প্রশিক্ষণের ব্যাপারে যে চুক্তি হয়, সেখানেও সংগঠনের আমির ও অন্যান্য শূরা সদস্যদের সঙ্গে রনবীর উপস্থিত ছিলেন।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –