• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

ধান-চালের মজুদ ঠেকাতে ও বাজার তদারকি করতে মাঠে ৮টি টিম

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১ জুন ২০২২  

ধান-চালের মজুদ ঠেকাতে ও বাজার তদারকি করতে মাঠে ৮টি টিম             
দেশের বাজারে অর্ধেকের বেশি চালের জোগান আসে বোরো মৌসুম থেকে। এ মৌসুমের ধান কাটা প্রায় শেষের দিকে। বাজারে ধানের সরবরাহও বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভোক্তাদের জন্য সুষ্ঠু খাদ্য সরবরাহ চেইন বজায় রাখার লক্ষ্যে এবং কতিপয় অসাধু বিক্রেতার কারসাজি রোধ করতে সরকার অবৈধ ধান-চাল মজুতকারীদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী অভিযান শুরু করেছে। এ লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আটটি টিম। পাশাপাশি বাজার তদারকিও করবে এসব টিম।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গিয়েছে, গত মাসের শেষ দিকে রাজধানীতে প্রতি কেজি মোটা চালের গড় দাম ছিল ৪৫-৪৮ টাকা। এছাড়া ভালো মানের চালের দাম প্রতি কেজিতে ছিল ৬০-৬৮ টাকা। চলতি মাসের শেষ দিনে গতকাল যা আরো বেড়েছে। গতকাল রাজধানীতে মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ৪৮-৫০ টাকায় এবং ভালো মানের চাল বিক্রি হয়েছে ৬০-৭০ টাকায়। ফলে মোটা ও চিকন চালের দাম প্রতি কেজিতে প্রায় ২ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

অবৈধ ধান মজুতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং চলমান ধান কাটার পূর্ণ মৌসুমে চালের দাম বৃদ্ধির কারণ খুঁজে বের করতে মন্ত্রিসভার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়ার একদিন পর এই অভিযান শুরু হয়। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অভিযানের বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এম. মজিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, এটা আমাদের রুটিন ওয়ার্ক এবং খাদ্য অধিদপ্তরের বৈধ লাইসেন্সধারী চাল ব্যবসায়ী, রাইস মিলারদের কেউই চলমান ফসল কাটার মৌসুমে তাদের জন্য নির্দিষ্ট সর্বোচ্চ সীমার অতিরিক্ত চাল বা ধান মজুদ করতে পারবেন না।

ব্যবসায়ীদের দৃষ্টিভঙ্গির সমালোচনা করে এই কর্মকর্তা বলেন, কিছু ব্যবসায়ী ধান কাটার মৌসুমে প্রচুর পরিমাণে ধান মজুদ করে যা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ এবং সম্পূর্ণ বেআইনি। যারা ফসল কাটার  মৌসুমে অবৈধভাবে চাল বা ধান মজুদ করার চেষ্টা করবে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

এই সিদ্ধান্তের আওতায়, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে তিনটি এবং খাদ্য অধিদপ্তরের অন্য পাঁচটি নিয়ে মোট আটটি টিম আজ থেকে অবৈধ খাদ্য মজুদকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে।

একজন খাদ্য কর্মকর্তা জানান, সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর বাবুবাজার পাইকারি চালের বাজারে অভিযান পরিচালনা করে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের টিম। এসময় বেশির ভাগ ব্যবসায়ী তাদের দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায়।

চাল ব্যবসায়ীদের খাদ্য অধিদপ্তরের লাইসেন্স ও তাদের গোডাউনের খাদ্য মজুদ যাচাই করেছে দলটি। দলটি দেখেছে যে খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক জারি করা বেশিরভাগ ট্রেডিং লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।

এই অভিযান সারা বছরই চলবে উল্লেখ করে রহমান বলেন, ভোক্তাদের জন্য চাল ও ধানের সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখার লক্ষ্যে সরকার মজুতদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। 

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ জাতীয় নিরাপত্তা  গোয়েন্দা (এনএসআই) ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরও সারাদেশে অভিযানে অংশ নেবেন।

এ ছাড়াও খাদ্য মন্ত্রণালয়ে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে এবং ৮৮০২২২৩৩৮০২১১৩, ০১৭৯০৪৯৯৯৪২ এবং ০১৭১৩০০৩৫০৬ নম্বরে ডায়াল করে অবৈধ মজুদদারদের সম্পর্কে কন্ট্রোল রুমে জানানোর জন্য জনগণকে অনুরোধ করা হয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী শিগগিরইই কৃষি, খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বিত বৈঠকের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন।

ভারপ্রাপ্ত খাদ্য সচিব ড. নাজমানারা খানম, অতিরিক্ত সচিব, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ খাদ্য অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –