বিশ্বে সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর ৪ প্রস্তাব

বৈশ্বিক সংকট মোকাবেলায় চার দফা প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল শুক্রবার রাতে খাদ্য, জ্বালানি ও অর্থসংক্রান্ত ‘গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপের (জিসিআরজি)’ প্রথম বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এই প্রস্তাব দেন। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আহ্বানে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি জিসিআরসি বৈঠকে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রথম প্রস্তাবে বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই বিশ্বব্যাপী সংহতি জোরদার করতে হবে এবং একটি সুসমন্বিত প্রতিক্রিয়া গ্রহণ করতে হবে।
জি-৭, জি-২০, ওইসিডি এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই গ্রুপের স্টিয়ারিং কমিটি সব বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে গঠিত। এটি দেখে আমি খুশি হয়েছি। আমরা সংকট মোকাবেলায় কার্যকর সুপারিশগুলো সাজানোর জন্য তাদের প্রচেষ্টায় পূর্ণ সমর্থন দেব। ’
প্রধানমন্ত্রী তাঁর দ্বিতীয় প্রস্তাবে বৈশ্বিক লজিস্টিক এবং সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যবস্থায় ব্যাঘাত তাত্ক্ষণিকভাবে মোকাবেলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এটি পণ্যের ক্রমবর্ধমান মূল্য নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে। বৈশ্বিক বাণিজ্য ও রপ্তানি আয়, বিশেষ করে স্বল্পোন্নত দেশ এবং অন্য দুর্বল দেশগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে লক্ষ্য অর্জনে আন্তর্জাতিক সমর্থনও থাকতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, উন্নত অর্থনীতি ও বহুপক্ষীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে এবং শুল্কমুক্ত-কোটামুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকার এবং আরো সহজলভ্য অর্থায়ন প্রদান করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর তৃতীয় প্রস্তাবে বলেন, কার্যকর খাদ্য সঞ্চয় ও বিতরণ ব্যবস্থার জন্য কৃষি খাতের জন্য প্রযুক্তি সহায়তা এবং বিনিয়োগের ওপর আরো বেশি মনোযোগ দেওয়া জরুরি। তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষেত্র, বিশেষ করে স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে অনেক অব্যবহৃত ব্যবসার সুযোগ রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ৪৮ সদস্যের জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতি হিসেবে বলেন, ‘আমরা অনেক উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র ও সাগর পৃষ্ঠের কাছাকাছি উচ্চতায় অবস্থিত জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। সেসব দেশে কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থা গুরুতর চাপের মধ্যে রয়েছে। ’
শেখ হাসিনা তাঁর বক্তৃতার শেষদিকে আরেকটি প্রস্তাবে বলেন, ‘আমাদের জাতীয় উন্নয়ন যাত্রা অনেক উদ্ভাবনী জলবায়ু কর্মের নেতৃত্ব দিয়েছে। আমরা অন্যদের সুবিধার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি এবং পরিবেশগত অবক্ষয়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের জ্ঞান, বোঝাপড়া এবং অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে চাই। ’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ বহুপক্ষীয়তায় দৃঢ় বিশ্বাসী। আমরা সর্বদা বিশ্ব শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিয়েছি। এই গ্রুপকে সমর্থন করার জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতি সেই প্রত্যয় থেকে উদ্ভূত হয়েছে। ’
তিনি বলেন, ইউক্রেনের যুদ্ধ এমন এক সময় হয়েছে যখন বিশ্ব কভিড-১৯ মহামারি থেকে পুনরুদ্ধার হতে লড়াই করছে। এটি এরই মধ্যে ভঙ্গুর বিশ্ব অর্থনীতিতে গুরুতর চাপ যুক্ত করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতি হিসেবে আমরা সবচেয়ে ভয়ংকর চ্যালেঞ্জগুলো দৃঢ়ভাবে মোকাবেলার জন্য পরিচিত। কভিড-১৯ মহামারি তার সর্বশেষ উদাহরণ। আমাদের মহামারি পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টাগুলো জীবন এবং জীবিকার সুরক্ষার মধ্যে একটি সতর্ক ভারসাম্য দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছিল। ’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টায় সবচেয়ে দুর্বল ব্যক্তিদের সামনে রাখি। যারা সবচেয়ে পেছনে রয়েছে তাদের সমর্থন করার জন্য আমরা সামাজিক সুরক্ষার আওতা বাড়িয়েছি। টিকা সংগ্রহে সময়মতো ব্যবস্থা আমাদের একটি বড় স্বাস্থ্য সংকট এড়াতে সাহায্য করেছে এবং জীবন বাঁচিয়েছে। ’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আমাদের রপ্তানি খাত এবং এসএমইকে সমর্থন করার জন্য বাস্তবসম্মত উদ্যোগও নিয়েছি। ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের উদ্দীপনা প্যাকেজ চালু করা হয়েছিল। এই পদক্ষেপগুলো আমাদের গত অর্থবছরে ৬.৯৪ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধির হার অর্জনে সহায়তা করেছে। ’
তিনি বলেন, ‘আমরা খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিকে অত্যন্ত অস্থিতিশীল করে তুলেছে। স্বল্প সরবরাহ এবং খাদ্য, জ্বালানি ও অন্যান্য পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এরই মধ্যে সাধারণ মানুষের জীবনে মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করেছে। ’
প্রধানমন্ত্রী ‘গ্লোবাল সাউথের’ একজন প্রতিনিধি হিসেবে সংকটের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত লক্ষাধিক মানুষের কণ্ঠস্বরকে সামনে আনছি। এলডিসি এবং এসআইডিগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য তাদের অবিলম্বে এবং লক্ষ্যযুক্ত সহায়তা ব্যবস্থার প্রয়োজন।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রস্তাবগুলো এগিয়ে নিতে আমরা বিদ্যমান উত্তর-দক্ষিণ, দক্ষিণ-দক্ষিণ এবং ত্রিভুজাকার সহযোগিতার সুবিধা নিতে পারি। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ততাও গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –- তিস্তা ব্যারাজে বিজিবির উদ্যোগে মাদকবিরোধী কর্মসূচি
- পদ্মা সেতুতে নেমে ছবি তুললেই জরিমানা
- সৈয়দপুরে ভুট্টার দ্বিগুণ দাম পেয়ে স্বস্তিতে কৃষক
- সংস্থা প্রধানদের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হবে: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
- আজ থেকে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ
- দীর্ঘসূত্রিতা দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি করে-প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন
- বন্যায় ৭ কোটি টাকার বেশি নগদ বরাদ্দ
- নিজের ভাগ্য নয়, জনগণের ভাগ্য বদলই একমাত্র লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী
- কুড়িগ্রামে ৫ শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ
- ধর্ষণ মামলায় ১৫ বছর পর তিনজনের যাবজ্জীবন
- ৪ বছর মধুর সঙ্গে নিষিদ্ধ প্রেম, বাড়িতে উঠতেই জানলেন বিয়ের কথা
- বাড়ির পাশের পুকুরে ভেসে উঠলো শিশুর মরদেহ
- সাবেক সংসদ সদস্য শাহানারা বেগম আর নেই
- পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীকে কুয়েতের রাষ্ট্রদূতের অভিনন্দন
- পঞ্চগড়ে ট্রাক্টরের চাপায় মোটরসাইকেলের আরোহী নিহত
- গাইবান্ধায় বাসের ধাক্কায় যুবক নিহত
- কাজের জন্য ঢাকায় এসে লাশ হয়ে ফিরল কিশোর
- ৬ মাসে পবিত্র কোরআনে হাফেজ হয়েছে সিয়াম
- কুড়িগ্রামে দুর্বৃত্তদের হাতে যুবক খুন
- ‘প্রমত্মা পদ্মায় বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস জেগেছে’
- রেহানা, জয়, পুতুল ও ববিকে ধন্যবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রী
- নতুন প্রজন্মকে তৈরি হতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
- প্রতিমন্ত্রী, সচিব, বিমানের এমডিকে নিয়ে হজ প্রতিনিধি দল
- শহীদ জননী জাহানারা ইমামের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
- ‘পদ্মা সেতু করে দেখিয়ে দিয়েছি আমরাই পারি’
- জাতিসংঘে পদ্মাসেতুর উদ্বোধন উদযাপন
- হজ পালনে সৌদিতে ৩৮৮৮৯ বাংলাদেশি
- পদ্মাসেতু শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় অর্জন: শিক্ষামন্ত্রী
- পদ্মাসেতুতে যান চলাচল শুরু
- বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে ডোপ টেস্টে আইন হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- পদ্মা সেতুর জন্য বাংলাদেশকে অভিনন্দন সৌদির
- ‘জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় হাজার মিলিয়ন ডলারের বাজেট সাপোর্ট’
- স্ত্রীর মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান স্বামী
- ঠাকুরগাঁওয়ে ছাত্রলীগের মানববন্ধন
- পদ্মা সেতু নিয়ে বাংলাদেশিদের গর্ব করা উচিত: অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনার
- বন্যায় কুড়িগ্রামের ৩২৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ
- বিএম ডিপোর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে: সেনাবাহিনী
- ধান-চালের মজুদ ঠেকাতে ও বাজার তদারকি করতে মাঠে ৮টি টিম
- রোববারের মধ্যে অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক বন্ধ না হলে ব্যবস্থা
- কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হলেন বিদ্রোহী যোদ্ধা পেত্রো
- স্ত্রীর লাশ মাটিতে পুঁতে রেখে থানায় যান মানিক
- দিনাজপুরে শেখ কামাল আইটি পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
- শিগগিরই চালের বাজার স্বাভাবিক হবে: কৃষিমন্ত্রী
- মেয়েদের হরমোনজনিত সমস্যার ৫ কারণ
- দিনাজপুরের গমের দাম কমেছে কেজিতে ৫ টাকা
- লাফিয়ে বাড়ছে করোনা, শনাক্তের হার ৩.৫৬
- দেশের অগ্রগতিতে পাকিস্তানি দোসরদের গাত্রদাহ হচ্ছে
- স্নাতক ছাড়া কেউ সাংবাদিকতায় প্রবেশের সুযোগ পাবে না
- বিচার বিভাগ শক্তিশালী থাকলে গণতন্ত্র জোরদার হয়: প্রধান বিচারপতি
- হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির নির্বাচন আজ