• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

গার্মেন্টসে কর্মপরিবেশ উন্নয়নে সহযোগিতা দেবে আইএলও

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২২  

আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থা (আইএলও) এবং বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) বাংলাদেশের  পোশাক শিল্পে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা কর্মসূচী অব্যাহত রাখার জন্য একযোগে কাজ করবে। এজন্য পোশাক শিল্পের কারখানা সমুহের নিরাপত্তা কমিটির সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আইএলও এবং বিজিএমইএর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

আজ রবিবার গুলশানস্থ বিজিএমইএ পিআর অফিসে অনুষ্ঠিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ এর সভাপতি ফারুক হাসান, আইএলও-এর  পোশাক শিল্পেকর্ম পরিবেশ উন্নয়ন কর্মসূচীর প্রধান কারিগরী উপদেষ্টা, জর্জ ফলার, বিজিএমইএ সহ-সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন এবং আইএলও বাংলাদেশের  উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশের শ্রম আইন অনুযায়ী ৫০ বা ততোধিক কর্মচারীসহ সকল সংস্থার জন্য শ্রমিক এবং নিয়োগ কর্তাদের পক্ষ থেকে সমান সংখ্যক প্রতিনিধির সমন্বয়ে নিরাপত্তা কমিটি গঠন করা বাধ্য তামূলক।

নিরাপত্তা কমিটিগুলোর দায়িত্ব হচ্ছে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলি বাস্তবায়ন, পর্যবেক্ষণ এবং তদারকি করা।

বিজিএমইএ-এর সাথে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৭৫টি পোশাক কারখানার ৭০০টি নিরাপত্তা কমিটির সদস্যদেরকে পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য কর্মক্ষেত্রে ঝুকি সনাক্তকরণ এবং ঝুঁকি মূল্যায়ন, ভবন নিরাপত্তা সংস্কৃতি, অগ্নি দুর্ঘটনা ব্যবস্থাপনা এবং কোভিড-১৯ নির্দেশিকা সম্পর্কে প্রশিক্ষন দেওয়া হবে। নিরাপত্তা কমিটিগুলোর প্রশিক্ষিত সদস্যরা পরবর্তীতে তাদের নিজ নিজ কারখানায় প্রায় ৫০ হাজার কর্মীদের মাঝে একই বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করবেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জর্জ ফলার বলেন, ‘নিরাপত্তা কমিটিগুলো কারখানায় নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশ তৈরি এবং তা বজায় রাখার জন্য কারখানার ব্যবস্থাপনা পর্যায়ের কর্মকর্তারা এবং কর্মীদের একত্রিত করে। ’ তিনি আরও বলেন, ‘এই কমিটিগুলো সঠিকভাবে দক্ষতাসম্পন্ন হলে এবং কর্মক্ষেত্রে অনেক দুর্ঘটনা এবং পেশাগত স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হবে। ’

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘আমাদের শ্রমিকদের নিরাপত্তাই আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার। তাই, নিরাপত্তা কমিটিগুলোকে আরও শক্তিশালী এবং কার্যকর করার জন্য আমরা আইএলওএর সাথে এক হয়েছি। আমাদের যৌথ উদ্যাগ শিল্পকে মহামারী সৃষ্ট নিরাপত্তা বিষয়ক ঝুঁকি ও স্বাস্থ্য সংকট কাটিয়ে উঠতে এবং অন্যান্য পেশাগত ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে। ’

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –