• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

প্রধানমন্ত্রীর পুনর্বাসন সহায়তা পাবে নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তরা     

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১  

প্রধানমন্ত্রীর পুনর্বাসন সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় নদী ভাঙনে ভিটেবাড়ি হারানো অতিদরিদ্র, ভূমিহীন ও দুস্থপরিবারকে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রথম দফায় নদী ভাঙনকবলিত এলাকার ৫১ হাজার ৯৪ পরিবারকে পুনর্বাসন সহায়তা দিতে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে অর্থ বিভাগ। পর্যায়ক্রমে ক্ষতিগ্রস্ত অতি দরিদ্র বাকি পরিবারকেও সহায়তা দেওয়া হবে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. মোহসীন বলেন, ‘নদী ভাঙনকবলিত এলাকার ৫১ হাজার ৯৪ পরিবারকে পুনর্বাসন সহায়তা দিতে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে অর্থ বিভাগ। এই টাকা সংশ্লিষ্ট উপজেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের উপকারভোগী বাছাই কমিটি নদী ভাঙনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে সহায়তা প্রদান করবেন। এ ছাড়া দুস্থ সব পরিবারকে সমহারে পুনর্বাসন সহায়তা দিতে নির্দেশনা দিয়েছে অর্থ বিভাগ। আরও বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে বাকি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকেও এ সহায়তা দেওয়া হবে।’  

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত কোনো পরিবার একবারের বেশি এই সহায়তা পাবে না। ক্ষতিগ্রস্ত বসতবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি এবং পরিবারের নির্ভরশীল সদস্য সংখ্যার ভিত্তিতে পুনর্বাসন সহায়তার পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে। পরিবারের সদস্য চারজন হলে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার, পাঁচজন হলে ৬০ হাজার এবং ছয়জন হলে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে। সুবিধাভোগী পরিবার হিসেবে দরিদ্র পরিবার (মাসিক আয় অনধিক ১৫ হাজার টাকা), ভূমিহীন পরিবার (জমির পরিমাণ অনধিক দশমিক ০৫ শতাংশ), দুস্থ পরিবাররাই (পরিবারের উপার্জনক্ষম সদস্য নেই, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী, বিধবা, স্বামী নিগৃহীত, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, হিজড়া, বেদে প্রভৃতি ধরনের পরিবার) এ সহায়তার আওতায় আসবেন। উপকারভোগী পরিবার বাছাই করতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে সভাপতি করে ৯ সদস্যের বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হবে। সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন ইউনিয়ন পরিষদ সচিব। কমিটির সদস্যরা হলেন- স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সদস্য, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক, বিআরডিবির মাঠ সহকারী, ইউএনও মনোনীত দুই শিক্ষক, এলাকার দুই গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা। একইভাবে পৌরসভার কমিটি প্রধান হবেন পৌর মেয়র এবং উপজেলা বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি হবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়,   প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় নদী ভাঙনে বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পুনর্বাসনের জন্য এই প্রকল্প নেয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। দেশের নদী ভাঙনকবলিত ৩১ জেলার মোট ৯৬টি উপজেলার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ‘নদী ভাঙনকবলিত এলাকার জনসাধারণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পুনর্বাসন সহায়তা’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে ২০১৯ সালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে প্রধান করে ১৪ সদস্যের জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করে সরকার। কমিটি নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তথ্য চেয়ে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) কাছে চিঠি দিলে বিভিন্ন জেলা থেকে নদীভাঙনে ভিটেমাটিহারা অসংখ্য পরিবারের তালিকা জমা পড়ে কমিটির কাছে।

প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয় ২৯৭ কোটি টাকা। প্রথম দফায় বসতবাড়ি হারা দরিদ্র, ভূমিহীন ও দুস্থ পরিবারকে পুনর্বাসন সহায়তা দিতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয় অর্থ বিভাগের কাছে। কিন্তু এ খাতে প্রথম দফায় মাত্র ৫০ কোটি টাকা ছাড় করে অর্থ বিভাগ। পাশাপাশি দুস্থ সব পরিবারকে সমহারে পুনর্বাসন সহায়তা দিতে নির্দেশনা দিয়েছে অর্থ বিভাগ।

ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –