বাংলাদেশের কৃষিপণ্য যাচ্ছে ১৪৪ দেশে
মাত্র চার বছরে বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। আগামী দুই থেকে তিন বছরে সেটা ছয় গুণ হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন এই খাতের ব্যবসায়ী ও কৃষি অর্থনীতিবিদরা। তাঁরা বলছেন, এই বিশাল সম্ভাবনার পথের কাঁটা অশুল্ক বাধা। সেটা দূর করা গেলে রপ্তানি আয়ে শীর্ষে থাকা তৈরি পোশাক খাতের পরেই জায়গা করে নিতে পারে কৃষিজাত পণ্য।
এমন আরো কিছু সমস্যা তুলে ধরে সেগুলো দূর করার পাশাপাশি আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোতে রপ্তানি বাড়াতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন কৃষি অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা।
খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ইউরোপ, আমেরিকা ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশসহ ১৪৪টি দেশে বাংলাদেশি কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। একসময় দেশীয় পণ্যে প্রবাসীদের রসনা তৃপ্তির জন্য মুড়ি, চানাচুর ও বিস্কুটের মতো পণ্য রপ্তানি শুরু হয়। এখন এই তালিকায় যোগ হয়েছে জ্যাম-জেলি, সস, নানা রকম মসলা, জুস, সরিষার তেল, আচার, সুগন্ধি চালসহ আরো কয়েকটি পণ্য। যেসব দেশে এগুলো রপ্তানি হচ্ছে সেখানকার মানুষের মধ্যেও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বলছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানি হতো মাত্র ৫৫ কোটি ডলারের। ২০২০-২১ অর্থবছরে কৃষিপণ্য রপ্তানি থেকে ১০৩ কোটি ডলার আয় এসেছে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৯ শতাংশের বেশি। চলতি অর্থবছরের (২০২১-২২) প্রথম দুই মাস জুলাই-আগস্টে কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে প্রায় ২১ কোটি ডলার বা এক হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। এ সময় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬ শতাংশের বেশি। গত অর্থবছরের একই সময় আয় হয় ১৭ কোটি ৮২ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকারী সংগঠনের (বাপা) সহসভাপতি সৈয়দ মো. শোয়েব হাসান বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোতে অশুল্ক বাধা দূর করা গেলে এবং প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা পেলে আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে ৩০০ কোটি ডলার বা ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি রপ্তানি আয় করা সম্ভব। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার আরো বাড়াতে ব্র্যান্ড এবং গুণগত মান উন্নয়নে জোর দেওয়া যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলো রাখতে পারে কার্যকর ভূমিকা।
খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাত না করার কারণে কৃষকের উৎপাদিত বিভিন্ন ফসলের ৩০ শতাংশই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যদি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত করা যায় এবং বিদেশে পাঠানো যায় তবে দেশে কর্মসংস্থান হবে, বৈদেশিক মুদ্রা আসবে। এগিয়ে যাবে দেশের অর্থনীতি। তাঁরা বলেন, কয়েকটি দেশের সঙ্গে পণ্য রপ্তানিতে কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকার ও ব্যবসায়ীরা সম্মিলিত উদ্যোগ নিলে রপ্তানির পথ আরো প্রশস্ত হবে। বন্দরে পণ্য পাঠানো সহজ করা, দেশে বিশ্বমানের ল্যাবরেটরি স্থাপন ও রপ্তানিতে শুল্ক-অশুল্ক বাধাকে গুরুত্ব দিতে হবে। তৈরি পোশাক শিল্পের পর সবচেয়ে সম্ভাবনাময় রপ্তানির খাত হিসেবে কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য খাতটি উঠে আসছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির মহাসচিব ড. মিজানুল হক বলেন, দেশের কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি কিছুটা বাড়লেও এর পরিবহন ব্যবস্থার ঘাটতির ফলে এর বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। তিনি বলেন, পচনশীল পণ্য হিসেবে এ খাতে বিশেষায়িত পরিবহন ব্যবস্থা, বিশ্বমানের কৃষিপণ্য উৎপাদনে ফাইটোস্যানিটারি (উদ্ভিদ স্বাস্থ্য সম্পর্কিত) সনদ, গুড অ্যাগ্রিকালচার প্র্যাকটিস (গ্যাপ) নিশ্চিত করে পণ্য তৈরি করতে হবে। তিনি বলেন, পণ্যের গুণগত মান ঠিক রাখতে রপ্তানিকারক থেকে কৃষক পর্যন্ত নিবিড় যোগাযোগ বাড়ানো এবং মূল্য সংযোজন নিশ্চিত ও সহজ করতে হবে। দেশে বিশ্বমানের কৃষিজাত পণ্যের শিল্প গড়ে তুলতে আন্তর্জাতিক মানসনদের দেশীয় সংস্থা বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডকে (বিএবি) কাগুজে বাঘ হয়ে থাকলে চলবে না।
দেশের কৃষিজাত পণ্যের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান খান চৌধুরী বলেন, ‘দেশের কৃষিজাত পণ্যের সম্ভাবনার তুলনায় রপ্তানি খুব কম হলেও বাড়ছে। এটাকে আরো এগিয়ে নিতে গেলে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর আমাদের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করতে হবে।’ তিনি বলেন, বিশ্বে খাদ্যজাত পণ্যের বড় বাজার রয়েছে, যার পরিমাণ সাত ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি। সেখানে বাংলাদেশের অংশ মাত্র ১০০ কোটি ডলার। আগামীতে আরো দ্রুত এই বাজার বাড়বে জানিয়ে আহসান খান চৌধুরী বলেন, এ জন্য পুঁজি সহায়ক বিনিয়োগ নিয়ে ব্যাংকিং খাতকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি আরো বলেন, ‘২০২৬ সালের পর বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যুক্ত হলে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এই সংকট মোকাবেলায় এখনই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।’
ইপিবির তথ্য অনুসারে, ৪৭৯টি প্রতিষ্ঠান ১৪৪ দেশে প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রপ্তানি করছে। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ ছাড়াও স্কয়ার, বিডি ফুডের মতো আরো অনেক প্রতিষ্ঠানের রপ্তানি বাজারও বেশ বড়। এই প্রসঙ্গে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান জানান, গত অর্থবছরে তাঁদের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩৪ কোটি ডলার।
বাপার তথ্য অনুসারে, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের অভ্যন্তরীণ বার্ষিক বাজার ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি। কাজ করছেন প্রায় ২০ লাখ মানুষ। ২০০০ সালের দিকে শুরু হয় এই খাতের পণ্য রপ্তানি। সরকারের ১০ বছরের কর অবকাশ সুবিধা, ২০ শতাংশ নগদ প্রণোদনার ফলে প্রতিযোগী দেশ ভারত, এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোর পাশাপাশি দ্রুত বাড়ছে দেশের রপ্তানির বাজারও।
– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –- আদিতমারীতে গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা
- গাইবান্ধায় যুব উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগ নিয়ে মতবিনিময় সভা
- রংপুরে ইসতিসকার নামাজ আদায়
- দ্বিতীয় সাক্ষাতেও গুজরাটকে হারাল দিল্লি
- খুন হওয়ার ভয়ে বাড়ি ছাড়লেন সালমান খান
- সব রোগ-ব্যাধি থেকে শেফা লাভের সূরা
- জিম্মি এক ইসরায়েলি-আমেরিকানের ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
- র্যাবের নতুন মুখপাত্র আরাফাত ইসলাম
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন
- গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ
- মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- সব ডিসি-এসপির সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ
- হিট অ্যালার্ট আরো তিনদিন বাড়লো
- বিআরটিএর অভিযানে ৪০৪ মামলায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা
- ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
- লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির ৫ নেতাকর্মী কারাগারে
- পাটগ্রামে ট্রেনের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৪ নির্দেশনা
- চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা
- উপজেলা নির্বাচনে বিজিবি মোতায়েন করা হবে
- পুলিশের প্রতি ১১ নির্দেশনা
- প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ২৬ প্রার্থী
- চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৫০ ভাগ
- শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- দেশজুড়ে আরো ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি
- বোরো মৌসুমের ধান-চালের মূল্য নির্ধারণ করল সরকার
- ‘সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে’
- ভ্যানামি চিংড়ির পোনা আমদানির অনুমোদন দিল সরকার
- লালমনিরহাট জেলা সমিতি রংপুরের উদ্যোগে ইফতার ও মতবিনিময়
- কারিগরির সনদগুলো কারা কিনেছেন বের করা হবে: ডিবিপ্রধান
- ইসরায়েলের এই বর্বরতা মেনে নেয়া যায় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- বাসভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে যা বললেন শাজাহান খান
- আইকনিক লিডার এখন কুন্তলা চৌধুরী
- বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- প্রত্যেকের উচিত প্রধানমন্ত্রীকে সহায়তা করা: গণপূর্তমন্ত্রী
- ঈদের আগেই জিম্মি নাবিকদের মুক্ত করা নিয়ে যা জানা গেল
- বাড়তি ভাড়া চেয়ে হয়রানি করলেই ব্যবস্থা: আইজিপি
- ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২৪ হাজারের বেশি নারী ও শিশু নিহত
- বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে ব্রুনাইয়ের সুলতানের শুভেচ্ছা বার্তা
- বেরোবি উপাচার্যের নামে ভুয়া ই-মেইল, থানায় জিডি
- লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে শ্যামল জয়ী
- সৌদিতে ভারী বৃষ্টিতে ডুবে গেছে রাস্তাঘাট, ভেসে গেছে গাড়ি
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
- হাতীবান্ধায় মাদক ব্যবসায় বাঁধা দেয়ায় স্ত্রীকে মারধর