• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

লাখো মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২৩  

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চলের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে। প্রস্তাবিত ঐ এলাকাকে উপজেলার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করতে যমুনা নদীর ওপর বাঁধ তৈরির কাজেরও চলছে সম্ভাব্যতা যাচাই। 

স্থানীয় এমপি তানভীর হাসান ছোট মনিরের দাবি, বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজের কিছুটা ধীরগতি হলেও বর্তমানে পুরোদমে কাজ চলছে।

জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৮ জুন ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল ইউপির পলসিয়া, নলসিয়া, কোনাবাড়ি, দোভায়া, পাটিতা পাড়া এবং গোবিন্দাসী ইউপির গোবিন্দাসী, কষ্টাপাড়া, ভালকুটিয়া চরাঞ্চলের ৫০২ দশমিক ০২ একর খাস জমিতে প্রস্তাবিত এ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জায়গা পরিদর্শন করেন তৎকালীন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) পবন চৌধুরী। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের এমপি তানভীর হাসান ছোট মনির, তৎকালীন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের মহাব্যবস্থাপক ও যুগ্ম সচিব (বিনিয়োগ উন্নয়ন) মো. মনিরুজ্জামান, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। 

ভূঞাপুরের যমুনা নদীতে জেগে উঠা চরের ৫০২ দশমিক ০২ একর জমির এই প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চলের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানের সড়ক, নদী ও রেলপথে সরাসরি যোগাযোগ সুবিধা রয়েছে। বাংলাদেশে শুধুমাত্র প্রস্তাবিত ভূঞাপুরের অর্থনৈতিক অঞ্চলেই এই সুবিধা বিদ্যমান। ফলে এখানে উৎপাদিত পণ্য সারাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কম সময়ে ও কম খরচে পৌঁছানো সম্ভব।

এ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপিত হলে উপজেলার পিছিয়ে পড়া চরাঞ্চলের জনগোষ্ঠিসহ জেলার হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। প্রসার ঘটবে ব্যবসা বাণিজ্যের। এতে যমুনার ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবে পূর্বপাড়ের প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকার ফসলি জমি ও বসতভিটা। সুযোগ সৃষ্টি হবে পর্যটন শিল্পেরও। 

ভূঞাপুর  ইবরাহিম খাঁ সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মোহাম্মদ ইমন পারামানিক বলেন, আমরা যত দ্রুত সম্ভব এ এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জোর দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া এই অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন হলে সেখানে কর্মসংস্থানের একটি বড় অংশ যেন এই অঞ্চলের জন্য সংরক্ষিত থাকে তারও জোর দাবি জানাচ্ছি।

স্থানীয় নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ সেলিম সিকদার, মো. শামসুল হক, মো. জুলহাস শেখ, মমতা বেগম, মোছা. আমেলা বেগম জানান, আমরা চাই জমির প্রকৃত মালিককে ক্ষতিপূরণ দিয়ে এই এলাকায় ইপিজেড স্থাপন করা হোক। ইপিজেড স্থাপন হলে এই এলাকার মানুষের ভাগ্য আমূল পরিবর্তন হবে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই এলাকায় দ্রুত ইপিজেড স্থাপনের জোর দাবি জানান তারা।

গোবিন্দাসী ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল হোসেন চকদার বলেন, আমরা চাই ভূঞাপুরে দ্রুত অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন হোক। অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপিত হলে এই এলাকার লাখো মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। চরাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার আমূল পরিবর্তন সাধিত হবে।

ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বেলাল হোসেন বলেন, উপজেলার নিকরাইল ও গোবিন্দাসী ইউনিয়নের চরাঞ্চলে প্রায় ৫০২ দশমিক ০২ একর জমিতে অর্থনৈতিক অঞ্চলের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে কার্যক্রম চলছে। এছাড়া ঐ চরের সঙ্গে মূল ভূখণ্ডকে যুক্ত করতে যমুনা নদীতে একটি বাঁধ তৈরির সম্ভাব্যতা যাচাই কার্যক্রম চালাচ্ছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি টিম।

তিনি আরো জানান, আশা করি খুব দ্রুতই ভূঞাপুরের প্রস্তাবিত অর্থনীতি অঞ্চলের কার্যক্রম শুরু করা যাবে।

টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের এমপি তানভীর হাসান ছোট মনির জানান, ভূঞাপুরের প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক জোনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে এই কার্যক্রম কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও বর্তমানে কার্যক্রম পুরোদমে চলছে। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড যমুনার ঐ অংশে বাঁধ তৈরির সম্ভাব্যতা যাচাই করছে। খুব দ্রুতই ভূঞাপুর তথা টাঙ্গাইলবাসীর স্বপ্নের অর্থনৈতিক অঞ্চল তার কার্যক্রম শুরু করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। 

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –