• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

ত্রিভুজ প্রেমেরই বলি ইভা, ১৮ ছুরিকাঘাতে হত্যা

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৮ আগস্ট ২০২২  

ত্রিভুজ প্রেমেরই বলি ইভা, ১৮ ছুরিকাঘাতে হত্যা                     
ত্রিভুজ প্রেমের কারণে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে স্কুলছাত্রী সানজিদা খানম ইভাকে। এ হত্যার মিশনে অংশ নেন সানজিদার তিন প্রেমিক। তাকে উপর্যুপরি ছুরির আঘাতে হত্যা করা হয়।

বৃহস্পতিবার আদালতে ১৬৪ ধারায় এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন সানজিদার প্রেমিক নাহিদুল ইসলাম ওরফে সায়েম।

রংপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) আশরাফুল আলম পলাশ জানান, তিন বছর আগে সায়েমের সঙ্গে পরিচয় হয় সানজিদার। তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরই মাঝে সানজিদার একাধিক ছেলের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি সায়েম জানতে পেরে তাদের মাঝে প্রায়েই বাগবিতণ্ডা হয়। 

এ নিয়ে সানজিদার ওপর চাপা ক্ষোভ বিরাজ করে সায়েমের। গত ১৬ আগস্ট দুপুরে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সানজিদাকে নগরীর শাপলা সিনেমা হলে সিনেমা দেখতে নিয়ে আসেন সায়েম। সেখানে সানজিদার নতুন প্রেম নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া বেঁধে যায়। পরে সায়েম তার পূর্ব পরিচিত দুইজনের সাহায্যে কৌশলে সানজিদাকে মাহিগঞ্জে রেখে আসেন। এর কিছুক্ষণ পর সায়েম সানজিদাকে মাহিগঞ্জ থেকে পীরগাছা আলী বাবা থিমপার্কে ঘুরতে নিয়ে যান। রাত হয়ে যাওয়ায় সানজিদা পার্ক থেকে বাড়ি ফিরে আসার জন্য সায়েমকে বারবার চাপ দিতে থাকেন।

এরপর তারা পার্ক থেকে কাউনিয়া-মধুপুর সড়কের একটি ফাঁকা জায়গায় আসলে সানজিদাকে একাধিক প্রেম নিয়ে জেরা করা হয়। এ সময় তাদের মাঝে বাগবিতণ্ডা শুরু হলে সায়েমসহ তার অন্য দুই প্রেমিক ছুরি দিয়ে সানজিদাকে হত্যা করেন। এরপর সানজিদার লাশ মধুপুর রোডের পাশে ফেলে তারা সটকে পড়েন। 

এদিকে ওইদিন রাতে উপজেলার হরিচরণ লস্করপাড়া এলাকায় এক কিশোরীকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার ধারে পড়ে থাকার খবর পায় পুলিশ। এরপর সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে লাশটি সানজিদার বলে শনাক্ত করে তার পরিবার। তার শরীরে ছুরিকাঘাতের ১৮টি চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য ওই রাতেই মরদেহ মর্গে পাঠায় পুলিশ।

জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, আমরা সানজিদার ব্যাগে পাওয়া একটি খাতা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সায়েমকে গ্রেফতার করি। আদালতে প্রেমিক সায়েম হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। একাধিক প্রেমের কারণে তারা সানজিদাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন। সায়েম নগরীর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন। তিনি মাহিগঞ্জের তালুক উপাশু গ্রামের নুর হোসেনের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে কাউনিয়া উপজেলার কুটিরপাড় বাজার থেকে মধুপুর সড়কের পাশে সানজিদার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সানজিদার বাবা ইব্রাহিম খান বাদী হয়ে কাউনিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সানজিদা বড়দরগা স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –