হাড়-চর্বি ছাড়া, ১০০ ভাগ হালাল মাংস বিক্রি করেন জমিলা কসাই
হাড়-চর্বি ছাড়া, ১০০ ভাগ হালাল মাংস বিক্রি করেন জমিলা কসাই
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ঝাড়বাড়ি হাটের জমিলা বেগম ওরফে জমিলা কসাই। পুরুষের সঙ্গে সমানতালে লড়াই করে হয়েছেন সফল ব্যবসায়ী। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন কসাই হিসেবে। কঠিন জীবনযুদ্ধে সব বাধাকে পেছনে ফেলেছেন জমিলা কসাই। পেয়েছেন সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সম্মাননা ও পুরস্কার।
মায়ের দোয়া মাংস ভান্ডার- জমিলা বেগমের মাংস বিক্রির দোকান। এ দোকানে মিলবে ১০০ ভাগ হালাল মাংস। সঠিক পরিমাপে হাড়-চর্বি বাদে মাংস বিক্রি করা হয়। বিয়ে বাড়ি, খৎনাসহ আশপাশের গ্রাম-শহরের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জমিলার দোকানের মাংস বেশ জনপ্রিয়। দোকানটির বিশেষ গুণ হলো- এখানে ক্রেতার পছন্দ মতো মাংস দেওয়া হয়।
দুই দশকের টানা অভিজ্ঞতায় জমিলা বেগম ক্রেতাদের কাছে হয়ে উঠেছেন বিশ্বস্ত। এলাকায় তিনি ‘জমিলা কসাই’ নামেই পরিচিত।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বীরগঞ্জ উপজেলার ঝাড়বাড়ী হাটে মায়ের দোয়া মাংস ভান্ডারে খুব সকাল থেকে শুরু হয়েছে কর্মব্যস্ততা। কেউ দোকান গোছগাছ করছেন আবার কেউ গরু জবাই করে চামড়া আলাদা করছেন। জমিলা বেগম নিজেও গরুর চামড়া আলাদা করছিলেন। কিছুক্ষণ পর দোকানে বসে মাংস কাটতে শুরু করলেন।
এদিকে মাংস আসার আগেই দোকানের বাইরে ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পরার মতো। জমিলা বেগম নিজে মাংস কাটছেন, ডিজিটাল পাল্লায় মাপছেন, আবার টাকা গুনছেন। চাহিদা অনুযায়ী ক্রেতাদের কেউ দুই কেজি, কেউ পাঁচ কেজি আবার কেউ ২৫ কেজি পর্যন্ত মাংস কিনছেন। তার হাত যেন আরেক ডিজিটাল পাল্লা। ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী যা পাল্লায় তুলছেন তা একেবারে সমপরিমাণ হয়ে যাচ্ছে।
সোমবার বাদে সপ্তাহের ছয়দিনই মাংস বিক্রি করেন জমিলা বেগম। তবে শুক্রবার মাংস বিক্রি বেশি হয়। অন্যদিন ৭-১০ মণ মাংস বিক্রি হলেও এদিন বিক্রি হয় ২০-২৫ মণ। প্রতিদিন গড়ে ৩-৪টি গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করেন জমিলা। শুধু নিজ এলাকার নয়, ক্রেতারা আসেন দূর-দূরান্ত থেকেও। বিশেষ করে বীরগঞ্জের গোলাপগঞ্জ, গড়েয়া হাট, কাহারোল, বসুনিয়া, লাহিড়ী, কালমেঘ, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ, খানসামা উপজেলা এমনকি ঠাকুরগাঁও ও নীলফামারী শহর থেকেও ক্রেতা আসেন জমিলার দোকানে মাংস কিনতে।
জমিলা কসাইয়ের ছেলে জহুরুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক সমস্যা থাকায় ছোটবেলা থেকে ব্যবসায় মায়ের পাশে দাঁড়ানোর কারণে বেশিদূর পড়ালেখা করা সম্ভব হয়নি। তবে মাকে নিয়ে অনেক গর্ব হয়। মা বিভিন্ন সময় সরকারি-বেসরকারি সংগঠন থেকে পুরস্কার পায়। ছেলে হিসেবে সেটা আমার জন্য গর্বের। মায়ের কারণে আজ আমি সমাজে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হতে পেরেছি। ৭-৮ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে আমাদের দোকানে।
জমিলা বেগম বলেন, ১৫ বছর বয়সে বগুড়ার মহাস্থানগড় এলাকার কসাই রফিকুল ইসলাম ভান্ডারীর সঙ্গে বিয়ে হয় আমার। আমার প্রথম সন্তান জহুরুলের জন্মের পর আমার স্বামী মাদকাসক্ত হয়ে ব্যবসা নষ্ট করে ফেলেন। ২০০০ সালের দিকে স্বামীকে নিয়ে বগুড়া থেকে ঝাড়বাড়ী হাটে এসে একটি মাংসের দোকান শুরু করি। সে সময় দোকানে স্বামীকে সময় দিতাম। আস্তে আস্তে পরিবারে সচ্ছলতা ফিরে আসে।
তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন জনের কাছ থেকে প্রায় তিন লাখ টাকা ধার-দেনা করে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান আমার স্বামী। তখন দুশ্চিন্তায় দিন কাটতে থাকে। পাওনাদাররা আমাকে টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন। নিরুপায় হয়ে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বাজারে মাংসের দোকান চালু করলাম। নিজে হাটে গিয়ে দেখে-শুনে গরু বাকিতে কিনতাম। পরদিন মাংস বিক্রি করে গরুর দামের সঙ্গে ৩০০-৫০০ টাকা বেশি দিতাম। এভাবে শুরু করে আস্তে আস্তে ক্রেতাদের কাছে মায়ের দোয়া মাংস ভান্ডার বিশ্বস্ত হয়ে ওঠে। দিনদিন ব্যবসা বাড়তে থাকে।
জমিলা বেগম বলেন, মা-ছেলে মিলে আস্তে আস্তে শোধ করে দেই স্বামীর দেনা। ১১ শতক জমি কিনে বাড়ি বানাই। ছোট পরিসরে একটি গরুর খামারও শুরু করেছি। বাড়ির সামনে একটি মুদি দোকান দিয়েছি। মাংস বিক্রি শেষে সেখানেও সময় দেই। সব মিলিয়ে ছেলে জহুরুল, তার স্ত্রী, দুই নাতি এবং মেয়ে সোহাগীকে নিয়ে আল্লাহর রহমতে সুখেই আছি।
– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –- লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির ৫ নেতাকর্মী কারাগারে
- পাটগ্রামে ট্রেনের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৪ নির্দেশনা
- চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা
- উপজেলা নির্বাচনে বিজিবি মোতায়েন করা হবে
- পুলিশের প্রতি ১১ নির্দেশনা
- প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ২৬ প্রার্থী
- চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৫০ ভাগ
- শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি
- কারিগরির সনদগুলো কারা কিনেছেন বের করা হবে: ডিবিপ্রধান
- গাজার সেই শহরে আবারও নারকীয় হামলার ঘোষণা ইসরায়েলের
- পাটপণ্যের উন্নয়নে সমন্বিত পথনকশা প্রণয়ন করা হবে: পাটমন্ত্রী
- জাতীয় সংসদের সব উন্নয়নের পৃষ্ঠপোষক প্রধানমন্ত্রী: স্পিকার
- বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে ৫ চুক্তি ও ৫ সমঝোতা স্মারক সই
- কালীগঞ্জে শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি আটক
- হাতীবান্ধায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ
- ভ্রু ম্যাজিক
- জয়সওয়ালের শতকে সপ্তম জয় রাজস্থানের
- প্রথমবার সালমানের বিপরীতে কিয়ারা
- ইস্তিসকার নামাজের সময় ও বিধি-বিধান
- লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে
- ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’
- ট্রেনের টিকিট এবার ভেন্ডিং মেশিনে, দাঁড়াতে হবে না লাইনে
- মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
- পাকিস্তান-ইরানের সম্পর্কের নতুন মাত্রা
- ‘জলবায়ু অভিযোজনে সফলতার জন্য সবার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস জরুরি’
- দেশজুড়ে আরো ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি
- বোরো মৌসুমের ধান-চালের মূল্য নির্ধারণ করল সরকার
- ‘সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে’
- ভ্যানামি চিংড়ির পোনা আমদানির অনুমোদন দিল সরকার
- লালমনিরহাট জেলা সমিতি রংপুরের উদ্যোগে ইফতার ও মতবিনিময়
- ইসরায়েলের এই বর্বরতা মেনে নেয়া যায় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- কারিগরির সনদগুলো কারা কিনেছেন বের করা হবে: ডিবিপ্রধান
- গাজায় হত্যাকাণ্ড বন্ধে পদক্ষেপ না নেয়া দুঃখজনক: প্রধানমন্ত্রী
- বাসভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে যা বললেন শাজাহান খান
- আইকনিক লিডার এখন কুন্তলা চৌধুরী
- বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- প্রত্যেকের উচিত প্রধানমন্ত্রীকে সহায়তা করা: গণপূর্তমন্ত্রী
- ঈদের আগেই জিম্মি নাবিকদের মুক্ত করা নিয়ে যা জানা গেল
- বাড়তি ভাড়া চেয়ে হয়রানি করলেই ব্যবস্থা: আইজিপি
- ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২৪ হাজারের বেশি নারী ও শিশু নিহত
- বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে ব্রুনাইয়ের সুলতানের শুভেচ্ছা বার্তা
- বেরোবি উপাচার্যের নামে ভুয়া ই-মেইল, থানায় জিডি
- লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে শ্যামল জয়ী
- সৌদিতে ভারী বৃষ্টিতে ডুবে গেছে রাস্তাঘাট, ভেসে গেছে গাড়ি
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির