• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

বাঙালিরা এতটা আপ্যায়ন করবে কল্পনা করতে পারিনি: জার্মান জামাই

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২২  

প্রথমবারের মতো ঈদ উদযাপন করতে সুদূর জার্মানি থেকে লালমনিরহাটে ছুটে এসেছিলেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয় প্যাট্রিক-ইভা দম্পতি। ২৫ দিনের সফর শেষে বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিয়েছেন প্যাট্রিক-ইভা দম্পতি। 

গত রোববার (২২ মে) রাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানে জার্মানি রওনা দেন তারা। এ সময় প্যাট্রিকের শ্বশুরবাড়ির লোকজন কেঁদেছেন, কেঁদেছেন প্যাট্রিক নিজেও। বিদায়বেলার দৃশ্য ছিল বেদনার। মেয়ে, জামাই আর নাতিকে বিদায় দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ইভার বাবা-মা। এর আগে গত ২৭ এপ্রিল ঈদ উদযাপন করতে সুদূর জার্মানি থেকে লালমনিরহাট শহরের স্টেডিয়ামপাড়া এলাকায় আসেন প্যাট্রিক-ইভা দম্পতি। জার্মান নাগরিক ড. প্যাট্রিক মুলার লালমনিরহাট শহরের স্টেডিয়াম পাড়া এলাকার আকতার হোসেনের মেয়ে মৌসুমি আক্তার ইভার স্বামী।  

জানা গেছে, ২০১৬ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য জার্মানিতে যান মৌসুমি আক্তার ইভা। সেখানে গিয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি একটি রেস্টুরেন্টে চাকরি নেন। ওই সময় রেস্টুরেন্টে আসা-যাওয়া ছিল অর্থনীতিতে পিএইচডি করা জার্মান নাগরিক ড. প্যাট্রিক মুলারের। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এভাবে ভালো লাগাটা আস্তে আস্তে ভালোবাসায় রূপ নেয়। ছয় মাস প্রেমের পর ইভা পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে করেন প্যাট্রিককে। বিয়ের এক বছরের মাথায় তাদের কোলজুড়ে আসে ফুটফুটে পুত্র সন্তান ইউহান।

এদিকে দীর্ঘ চার বছরের সংসার জীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশের রূপ দেখে মুগ্ধ হন প্যাট্রিক। পরে ইভার পরিবারকে নিয়ে ঈদ করার ইচ্ছা পোষণ করেন। বিষয়টি ইভা তার পরিবারকে জানান। পরে ২৯ এপ্রিল জার্মান জামাই শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন। ধুমধাম করে তাদের বরণ করে লালমনিরহাট শহরের স্টেডিয়ামপাড়ার মানুষ। 
পরে ১৪ মে শ্বশুরবাড়ি থেকে বিদায় নেন ড. প্যাট্রিক মুলার। 

মৌসুমি আক্তার ইভা বলেন, টানা ২৫ দিনের সফরে আমার স্বামী বাংলার মানুষের অনেক কিছু লক্ষ করেছেন। এছাড়াও এসব দেখে নিজেও চেষ্টা করেছেন বাঙালির মতো হওয়ার। যা কিনা সবাইকে মুগ্ধ করেছে। 

তিনি আরও বলেন, প্যাট্রিক খ্রিস্টান হলেও বাঙালিরা তাকে এভাবে বরণ করে নিবে সেটি কখনো ভাবতে পারেনি। বাঙালি রীতি মেনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা এখনো করা হয়নি। পরের বছর আমরা গ্রামের মানুষদের নিয়ে আমাদের বিয়ের একটি অনুষ্ঠান করব। 

ড. প্যাট্রিক মুলার বলেন, সত্যিই অসাধারণ বাংলাদেশের মানুষ। কখনো কল্পনা করতে পারিনি বাঙালিরা এতটা আপ্যায়ন করবে। ভিসার মেয়াদ থাকলে আরও কিছু দিন থেকে যেতাম।

ইভার বাবা আখতার হোসেন বলেন, অনেকদিন পর মেয়ে জার্মান থেকে জামাই ড. প্যাট্রিক মুলারকে নিয়ে দেশে এসেছিল। জার্মানি হলেও ড. প্যাট্রিক মুলার বাঙালির মতো চলাফেরা করেছে। এলাকার মানুষ তাকে পেয়ে অনেক খুশি হয়েছে। বিদেশি হওয়া সত্ত্বেও জামাই তার পরিবারকে রেখে আমাদের সঙ্গে ঈদ করেছে, এটিও অনেক বড় পাওয়া। তার ভদ্র ব্যবহার আমাদের মুগ্ধ করেছে।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –