• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

রৌমারীতে মা-ছেলেকে গলাকেটে হত্যার ২ আসামি আটক

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২২  

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় চাঞ্চল্যকর মা-ছেলে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার চারদিন পর মুলহোতা উকিল বাবা জাকির হোসেন ওরফে জুফিয়াল (২৮) ও দেবর চান মিয়াকে (৪৩) আটক করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১৪)।  

বুধবার (২৫ মে) দুপুর ১২টার দিকে রৌমারী উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে ক্লুলেস মা ও ছেলেকে হত্যা মামলার দুই আসামিকে আটকের বিষয়ে ব্রিফিং করেছে র‌্যাব-১৪।

প্রেস ব্রিফিং শেষে আটক আসামিদের রৌমারী থানায় হস্তান্তর করা হয়।

আটক জাকির হোসেন ওরফে জুফিয়াল রৌমারী উপজেলার ওকরাকান্দা গ্রামের গোলাম শহিদের ছেলে এবং চান মিয়া একই গ্রামের বাহাদুরের ছেলে।

ব্রিফিংকালে র‌্যাব ১৪, সিপিসি-১ জামালপুর ক্যাম্পের স্কোয়াড্রন লিডার (কোম্পানি কমান্ডার) আশিক উজ্জামান ও স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার সবুজ রানা জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে পরিকল্লিতভাবে হাফসা আক্তার হারেনা (২৭) ও তার ৫ মাস বয়সী শিশুকে গলাকেটে হত্যা করে। ওই ঘটনা নিয়ে ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে র‌্যাব-১৪ জামালপুর ক্যাম্পের প্রতিনিধি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ও ছায়া তদন্ত শুরু করেন।

পরবর্তীতে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত ২৪ মে দুপুর ১২টার দিকে উকিল বাবা জাকির হোসেন ওরফে জুফিয়াল (২৮) জামালপুর জেলার বকশিঞ্জ উপজেলা থেকে আটক করা হয়। পরে আটক জুফিয়ালের তথ্যের ভিত্তিতে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের বোয়ালমারী গ্রাম থেকে হাফসা আক্তারের আপন দেবর চান মিয়াকে (৪৩) আটক করা হয়।  

উল্লেখ্য, গত ২১ মে ভোরে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার রৌমারী সদর ইউনিয়নের নতুন বন্দর হাজিপাড়া এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে শিশুটির মরদেহ ও পাশেই শিশুরটির মা হাফসাকে গলাকাটা অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করলে পথে তার মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ মা ও ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে ময়ানাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠান।

মা-ছেলে জোড়া হত্যাকাণ্ডে ঘটনায় হারেনার বাবা বাদী হয়ে রৌমারী থানায় অজ্ঞাত আসামি উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –