• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

বুড়ির বাঁধে মাছ ধরতে মানুষের ঢল

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০২১  

কারও হাতে পলো, কারও হাতে চাবিজাল, খেয়াজাল, টানাজাল বা ছেঁকাজাল। যাদের মাছ ধরার সরঞ্জাম নেই তারাও বসে নেই। খালি হাত দিয়েই কাঁদার মধ্যে মাছ খুঁজছে। মাছ ধরা দেখতে বাঁধের পাড়ে ভিড়ি জমিয়েছেন উৎসুক মানুষ। অনেকে মাছ না ধরলেও বন্ধু-বান্ধব ও স্বজনদের উৎসাহ দিচ্ছেন।

সোমবার (১৮ অক্টোবর) সকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় শুক নদীর তীর ঘেঁষা বুড়ির বাঁধে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।

প্রতিবছরের মতো এবারো বুড়ির বাঁধে মাছ ধরার উৎসব চলে। রাতে বাঁধের গেট খুলে দেওয়ায় সোমবার সকাল থেকেই মাছ ধরায় যোগ দেন আশপাশের গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। এদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশুও আছে। বাদ যাননি বৃদ্ধ-বৃদ্ধারাও।

খোঁজ নিয়ে যানা যায়, ১৯৮০ সালের দিকে শুষ্ক মৌসুমে এ অঞ্চলের কৃষি জমির সেচ সুবিধার জন্য সদর উপজেলার আচকা ও চিলারং ইউনিয়নের মাঝামাঝি এলাকায় শুক নদীর ওপর একটি জলকপাট (স্লুইচগেট) নির্মাণ করা হয়। নাম দেওয়া হয় বুড়ির বাঁধ। জলকপাটে আটকে থাকা পানিতে প্রতিবছর মৎস্য অধিদফতরের উদ্যোগে বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা ছাড়া হয়। আর শীতের শুরুতেই বাঁধের পানি ছেড়ে দেওয়ার পর মাছ ধরার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এভাবেই প্রতিবছর চলে বুড়ির বাঁধে মাছ ধরার উৎসব।

সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়ন থেকে মাছ ধরতে আসেন মিজানুর। তিনি বলেন, মাছ ধরা উৎসবের কথা শুনে এখানে এসেছি। পুঁটি মাছ, গুড়া মাছ জালে আটকা পড়ছে। তবে গতবারের মতো এবার তেমন মাছ ধরা পড়ছে না। কারণ এবার পানি একটু বেশি।

আখানগর ইউনিয়ন থেকে মাছ ধরতে আসা সিরাজ বলেন, সকাল থেকেই মাছ ধরছি। জাল নিয়ে আমরা কয়েকজন এসেছি। মাছ ধরা পড়ছে না। কারণ অনেক মানুষ জাল ফেলেছে। একই সঙ্গে পানি একটু বেশি। এরপরও চেষ্টা করছি।

শহরের হল পাড়া থেকে মাছ কিনতে আসেন সাদিক হোসেন। তিনি বলেন, প্রতিবারই এখানে মাছ কিনতে আসি। কিন্তু দাম বেশি চায়।

ঠাকুরগাঁও আকচা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মণ বলেন, মাছ ধরার উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরের মতো এবারও মানুষের ঢল নামে। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে এখানে মেলায় পরিণত হয়। আমরা চেষ্টা করি যাতে করে এখানে কোনো ধরনের সমস্যা না হয়।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –