• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

জাতীয়তাবাদী কৃষকদল ‘মৃতপ্রায়’ 

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

কৃষকের দাবি আদায়ে আন্দোলন-সংগ্রামে যেমন ব্যর্থ, তেমনি দলের কর্মসূচিতে অবদান রাখতে পারেনি বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী কৃষকদল। দলীয় সূত্র বলছে, কৃষকদল বিলুপ্তির পথে চলে গেছে। দলটি আজ মৃতপ্রায় অবস্থায় রয়েছে।

জানা গেছে, কৃষকদলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে ২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয় বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদুকে। আর সদস্য সচিব হন কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন। এছাড়া এ কমিটিতে ১২ জন যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ১৩৯ জন সদস্য রয়েছেন।

গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলা এ সংগঠনে প্রাণ সঞ্চার করতে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটিকে তিন মাসের মধ্যে কাউন্সিল করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু গঠিত আহ্বায়ক কমিটি প্রায় দুই বছরেও কাউন্সিল করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, অভ্যন্তরীণ কোন্দল, সাংগঠনিক অদক্ষতা ও স্বজনপ্রীতির কারণেই মূলত কোণঠাসা হয়ে আছে সংগঠনটি। মূল দলের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সংগঠন হলেও দেশের কৃষক জনগোষ্ঠীর দাবি ও সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নিশ্চুপ সংগঠনটির নেতারা। এখনো কার্যত কিছুই দেখাতে পারেনি তারা।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কৃষকদলের একজন নেতা বলেন, সাংগঠনিক অদক্ষতা এবং স্বজনপ্রীতির কারণেই মূলত কোণঠাসা হয়ে আছে জাতীয়তাবাদী কৃষকদল। এছাড়া নানা কারণে সংগঠনটি আজ মৃতপ্রায়।

তিনি আরো বলেন, এ সংগঠনের নেতারা কোনো কাজ করেন না। এ বিষয়ে বিএনপির হাইকমান্ডের দৃষ্টি দেয়া এবং এ সংগঠনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা উচিত।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালের ১৬ মে সর্বশেষ কৃষকদলের জাতীয় কাউন্সিলে মাহবুবুল আলম তারাকে সভাপতি ও শামসুজ্জামান দুদুকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন করা হয়। দীর্ঘ ১০ বছর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন মাহবুবুল আলম তারা। ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে দল ত্যাগ করেন কৃষকদলের সভাপতি। এরপর সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান মোল্লাকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০০৮ সালের আগস্ট মাসে তিনি মারা গেলে সংগঠনের সহ-সভাপতি ও তৎকালীন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়।

পরে ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ ষষ্ঠ কাউন্সিলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপির মহাসচিব হলে কৃষকদলের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে সভাপতির পদ খালি থাকে। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি শামসুজ্জামান দুদুকে আহ্বায়ক করে কমিটি গঠন করা হয়।

গঠনতন্ত্র অনুসারে তিন বছর পর পর কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল হওয়ার কথা থাকলেও ১৯৯৮ সালের পর সংগঠনের আর কোনো কাউন্সিল হয়নি। অথচ এ সময়ের মধ্যে সাতবার কাউন্সিল হওয়ার কথা ছিল।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –